জলকর ব্যক্তি মালিকানায় চলে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ছড়াল ব্যাপক উত্তেজনা

জলকর ব্যক্তি মালিকানায় চলে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ছড়াল ব্যাপক উত্তেজনা

উত্তম সাহা, বাগদা : বেতনা নদীর ৪৮ বিঘা জলকর ব্যক্তি মালিকানায় চলে যাওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল রণঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিহরপুর গ্রামে। এই ঘটনায় গতকাল বিকালে নদীপাড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলো গ্রামের শতাধিক আবালবৃদ্ধবনিতা। চাষীদের নদীতে পাট ডোবানো কে কেন্দ্র করে গ্রামের লোকজন দলে দলে এসে মৎসজীবি সমবায় সমিতির প্রাঙ্গনে একত্রিত হয়।

সেখানে বাবলু বিশ্বাসের নেতৃত্বে গ্রামের এক তৃতীয়াংশ লোকের মতামতের ভিত্তিতে হরিহরপুরের শত শত নারী পুরুষ সম্মিলিত ভাবে প্রতিবাদ মূখোর হয়ে উঠে। গ্রামবাসী বাবলু বিশ্বাস বলেন, নদী সবসময়ই সরকারী সম্পত্তি গ্রামবাসীরাও এতদিন সেভাবে তার ব্যবহার করে আসছিল।

আরও দেখুন--


এখন হঠাৎ করেই একজন ধনীব্যক্তি বেতনা নদীর প্রায় ৪৮ বিঘা জলকর নিজের বলে দাবী করছে এবং বেতনা পাশের খাস জমির কিছু অংশ কবলা মূলে বিক্রীও করে দিয়েছে। গ্রামবাসী বিকাশ সাঁতরা, উর্মিলা সাঁতরা, সন্ধ্যা রায়, বিজলী সরকাররা বলেন, সারাদিন খাটাখাটনির পর গরমের দিনে সন্ধ্যায় বেতনায় স্নান করতে নামলে বেতনার পাহারাদাররা তাদের গায়ে টর্চের আলো জ্বালিয়ে রাখে।

বেতনার বর্তমান মালিক গ্রামের চাষীদের সাথে দুর্ব্যবহার করে এবং পাট ডোবানোর জন্য বিঘা প্রতি পাঁচ'শ থেকে হাজার টাকা নগদে আদায় করে। এ ছাড়াও নদীতে অসংখ্য মাটির বাঁধ দিয়ে ভেড়ি তৈরি করে মাছ চাষ করাতে গ্রামের মধ্য থেকে বৃষ্টির জল বেরোতে না পেরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করছে। এ কারনে অগ্নিগর্ভ গ্রামবাসীরা বাঁধ কাটার জোর দাবী জানিয়েছেন।


জলকর ব্যক্তি মালিকানায় চলে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ছড়াল ব্যাপক উত্তেজনা

স্থানীয় গরীব মৎসজীবিদের পেটে লাথি মেরে বেতনা নদীতে বাঁধ দিয়ে ভেড়ি তৈরি করে বর্তমান মালিক স্বাধীন ভাবে মাছ চাষ করাতে ক্ষোভে ফূঁসছে হরিহরপুর গ্রামের লোকজন। যে কোনো একটা বড় ধরনের গন্ডগোল মারামারির মত ঘটনা ঘটতে পারে বলে বলে অভিমত স্থানীয় বয়স্কদের।

এ ব্যাপারে বেতনার মালিক ডাঃ সঞ্জিত বাবু জানান, উক্ত ব্যক্তিবর্গের অভিযোগ সঠিক নয়। দীর্ঘদিন আগে থেকেই কয়েকটি হাত বদল হয়ে মালিকানা তাদের দাড়িয়েছে। এটা রেকর্ডের সম্পত্তি এবং তারা রীতিমতো পূর্বের মালিকের নিকট থেকে কবলা মূলে ক্রয় করে ভোগদখল করেছেন।


আরও পড়ুন--

Post a Comment

Previous Post Next Post