সুলগ্না সিনহা, সার্বভৌম সমাচার : দুধ কী ভাবে ত্বকের ক্ষতি করে? জানেন? তবে জেনে নিন। হাড় মজবুত রাখার জন্য দুধের কোনও বিকল্প নেই। দুধের প্রলেপ অনেকেই মেখে থাকেন ছোটবেলায় চামড়ার ভালো রাখার জন্য। কিন্তু দুধ খেলে যে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে, সে কথা কি জানতেন?
দুধ আমাদের শরীরের জন্য উপকারী খাবার, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। হাড় মজবুত রাখার জন্য দুধের কোনও বিকল্প হয় না।কিন্তু দুধ খেলে যে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে, সে কথা কি জানতেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুধ ত্বকে সরাসরি প্রভাব না ফেললেও ত্বকে সমস্যা সৃষ্টিকারী বিভিন্ন উৎসেচকের ভারসাম্য বিঘ্নিত করে।
গরুর দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারে যে জাতীয় প্রোটিন থাকে, তা ইনসুলিন ক্ষরণকে প্রভাবিত করে। প্রোল্যাক্টিন, প্রোস্টাগ্লান্ডিনস্ এবং স্টেরয়েডের মতো গ্রোথ হরমোনগুলির ভারসাম্য বিঘ্নিত করে। এ ছাড়াও, গরুর দুধের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য বাইরে থেকে ওষুধ দেওয়া হয়। এই দুধ শরীরে গেলে ইনসুলিন গ্রোথ ফ্যাক্টর (আইজিএফ) ত্বকে সেবাম নিঃসরণ বাড়িয়ে তোলে। অর্থাৎ, ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে যায়। এই অতিরিক্ত তেল ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্রগুলির মুখ বন্ধ করে ব্রণর প্রকোপ বাড়িয়ে তোলে। তাই হরমোনের প্রভাব পড়তে পারে।
বেশির ভাগ দুগ্ধজাত খাবার প্রক্রিয়াকরণ করে তৈরি করা হয়। যে কোনও প্রক্রিয়াজাত খাবারই ইনসুলিন ভারসাম্য নষ্ট করে। শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বেশি থাকলে যে কোনও সংক্রমণ এবং প্রদাহকে বাড়িয়ে তোলে। যেমন ব্রণ, এগজ়িমা, রোসাসিয়া, একান্থসিস নাইগ্রিকানস। এ ছাড়াও, ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়লে সেখান থেকে ত্বকে ঘা পর্যন্ত হতে পারে.., তাই দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
অনেকেই আছেন, যাঁদের দুধ সহ্য হয় না। ‘ল্যাক্টোজ় ইনটলারেন্স’ কথাটি আজকাল মুখে মুখে ঘোরে। এই ল্যাক্টোজ় আসলে এক ধরনের শর্করা। আমাদের শরীরে উপস্থিত এক ধরনের উৎসেচক এই শর্করা ভাঙতে সাহায্য করে। কিন্তু যাঁদের শরীরে এই উৎসেচকের পরিমাণ কম থাকে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ল্যাক্টোজ়কে ভাঙা মুশকিল হয়ে যায়। ফলে ত্বক স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে এবং নানা রকম সংক্রমণ দেখা দেয়।
তবে এ কথাও সত্যি দুধ খেলেই যে সকলের ত্বকে এই ধরনের সমস্যা হবে, এমনটা নয়। কিন্তু ত্বকে থাকা এমন অনেক সমস্যা বাড়িয়ে তোলে দুগ্ধজাত খাবার।
আবার, এ কথা মনে রাখাও জরুরি যে, সকল দুগ্ধজাত খাবার ত্বকের সমস্যা বাড়ায় না। চিজ়, দই, মাখন থেকে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
Disclaimer : এখানে দেওয়া তথ্য ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে। এটি গ্রহণ করার আগে, অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। Sarbabhauma Samachar এই প্রেসক্রিপশনগুলিকে সমর্থন করে না।)