সমাচার ওয়েবডেস্ক : বিগত বছরে গোটা দেশের মানুষ তাকিয়ে থাকতেন ২৪ ঘণ্টায় কতজন করোনায় আক্রান্ত হলেন সেই পরিসংখ্যানের দিকে। ডেঙ্গি নিয়ে মানুষের ততটা মাথাব্যথা না থাকলেও এবার সবার অলক্ষ্যে রাজ্যে বাড়াছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্তদের মধ্যে প্রাপ্ত বয়স্কদের সঙ্গে রয়েছে শিশুরাও। চিরাচরিত উপসর্গের পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে নতুন নতুন উপসর্গ।
রাজ্যে ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত। রাজ্য সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সঙ্গে ছাড়িয়ে গেল ২০ হাজারের কোটা। বৃহস্পতিবারের হিসেব পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্যে এখনওপর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ২০,০৩৩ জন। এক সপ্তাহে ডেঙ্গি সংখ্যা বাড়লে চিন্তা হতে পারে। সাত দিনে ওই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭৪৪। কলকাতা, হাওড়া ও হুগলিতে এখনওপর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজারের বেশি।
আনতে সংখ্যার পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। এখনওপর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ু হয়েছে ১৯ জনের। করোণা পরিস্থিতির পর বাঙালিকে ভাবতে হচ্ছে আবার এই বিষয় নিয়ে ও।
রাজ্য সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী কলকাতায় এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ২১৪৭ জন, হাওড়ায় ২৭৬৪, হুগলিতে ২০৫৫ জন, জলপাইগুড়িতে ১৯২৮ জন। ডেঙ্গি আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা সব থেকে বেশি উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে এখনওপর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬৫৭ জন।
পুজোয় শিশুদের সামলানো বেশ মুসকিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন শিশুদের ফুলহাতা জামা পরিয়ে বাইরে বের করতে হবে। শোয়ানো যাবে না মশারি ছাড়া। ভোরে ও সন্ধেয় তাদের উপরে বিশেষ নজর রাখতে হবে। কারণ ওই সময়ে ডেঙ্গির মশা বেশ সক্রিয় থাকে।
জ্বর এলে প্যারাসিটামল খাবে। তবে কোনও ব্যথার ওষুধ পাওয়ানো যাবে না।রক্ত পরীক্ষা করতে হবে দ্রুত সম্ভব। ডেঙ্গির আক্রমণ থেকে বাঁচার ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল আগাছা পরিষ্কার রাখা। এর পাশাপাশি নিজের বাসস্থানের আশেপাশে এবং রাস্তায় যাতে অতিরিক্ত জল না জমে সেই দিকে নজর রাখা।
এখন পুজর সময়। প্যান্ডেল তৈরির সময় যেভাবে বাঁশ পোঁতা হয় তাতে সেখানে অনেক জায়গায় গর্ত থাকে এবং বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে সেই গর্তে জল জমা হয়ে মশার বংশবৃদ্ধি হয়।