সুলগ্না সিনহা, বনগাঁ : ডাক ঘরের এজেন্টদের বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে পরতে হচ্ছে ডাকঘরের পরিষেবা নিয়ে। সেই সঙ্গে হয়রানির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। সরকারি তরফে যেমন সমস্যা রয়েছে, তেমন রাজনৈতিক ভাবেও বিভিন্ন সমস্যার সন্মুখিন হতে হচ্ছে।
এইরকম বিভিন্ন অভিযোগ উঠে এলো ডাক ঘরের এজেন্টদের সন্মেলনে। রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ সংলগ্ন শক্তিগর হাইস্কুলে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই সন্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।জেলার রাজ্যস্তরের ডাক ঘরের এজেন্টরা উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে।
এজেন্টদের অভিযোগ, আর্থিক ক্ষেত্রে ডাকঘরগুলিতে লিঙ্কফেলিওর, পাশ বই আপ ডেট, চেক-বই এজেন্ট চেক, রিসিপ্ট বই এবং অ্যাসলাস কার্ড একাধিক সমস্যা নিয়ে কখনও এজেন্টদের সঙ্গে গ্রাহকদের বা ডাক অফিসের কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ছে।
একজন গ্রাহকের সই আপ-ডেট হতে প্রায় তিন মাস সময় লেগে যাচ্ছে। চেক বই পেতে সময় লাগছে প্রায় এক মাস। এর ফলে ডাকঘরের প্রতি ভরসা হারাচ্ছেন গ্রাহকরা। এর ফলে অন্য ব্যাংকে চলে যাচ্ছেন গ্রাহকরা। দিনে দিনে ডাকঘরের গ্রাহকও কমচ্ছে।
ফলে হাজার হাজার সরকারি অনুমদিত এজেন্ট আর্থিক সংকটে ভুগচ্ছে। এজেন্ট উইনিয়নের সম্পাদক আবীর নন্দী বলেন, আমরা গ্রাহকদের চাহিদামতো পরিসেবা দিতে গিয়ে দিনরাত কষ্ট করে তাঁদের অর্থ জমা দিয়ে স্বল্প সঞ্চয়ে দেশের মধ্যে সব থেকে এগিয়ে এই রাজ্য।
অথচ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নূন্যতম সন্মান বা স্বীকৃতি এজেন্টরা পায়নি সরকার থেকে। অভিলম্বে লিঙ্কফেলিওর, পাশ বই আপ ডেট, চেক-বই এজেন্ট চেক, সমস্যার সমাধান না হলে গ্রাকদের ডাক ঘরের উপরে ভরসা ও বিশ্বাস উঠে যাবে।