
সার্বভৌম সমাচার, বনগাঁ ঃ ভারত ও বাংলাদেশের পেট্রাপোল সীমান্তের রামচন্দ্রপুর, চড়ুইগাছি এলাকাসহ আশেপাশের প্রায় শতাধিক চাষী আজ বিপাকে। কেউ আছেন ভাগচাষী; আবার কেউ আছেন স্বল্প জমির মালিক। সারা বছরে তাদের রুটিরুজি মাঠের ওই একফালি জমি। কিন্তু এই মহামারী করোনা রুখতে কেন্দ্রের নির্দেশে বন্ধ সিমান্তের চাষাবাদ। ফলে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ চাষিরা। তাদের দাবী, জিরো পয়েন্টে তাদের যে জমি রয়েছে তা চাষ করেই তাদের সারা বছরের জীবিকা অর্জন করতে হয়।
আরও খবর পড়ুন-- ২০০ অটোচালকদের খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির পরিবহন কর্মাধ্যক্ষ সাধন বাগচী
জানা গিয়েছে, ইতিপূর্বে চাষিরা বিএসএফের কাছে পরিচয়পত্র রেখে দিনে তিনবার চাষ করতে যেতে পারত। কিন্তু হটাৎ করে সাতদিন ধরে বিএসএফ চাষ করতে যেতে দিচ্ছেনা । একাধিকবার চাষিরা বিএসএফের কাছে গেলেও তারা কর্ণপাত করেছে না। যদি চাষিরা জানাচ্ছে বিএসএফ শুধু বলছে, করোনার জন্য যেতে দেওয়া হবে না। এদিকে চাষবাস না করলে কারো পেট চলবে না। ফলে আগামী দিনে আত্মহত্যা ছাড়া কিছু করার থাকবে না।
আরও খবর পড়ুন-- বন্ধ সীমান্তে গেট; ক্ষতিগ্রস্ত হাজার হাজার কৃষক
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য জানান, এই ঘটনার পর দুজন কৃষক আত্মহত্যার চেষ্টাও পর্যন্ত করেছে। তাদের কোন রকম ভাবে বাঁচিয়ে আনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছেন লকডাউনে কৃষকদের ছাড় দিতে হবে। তাই নিরুপায় হয়ে মঙ্গলবার বিডিওর কাছে এসে লিখিত ডেপুটেশান দেয় তারা। তাদের দাবী আগের মত তাদের আবার চাষবাস করতে দেওয়া হোক।