Breaking News : গোয়েন্দা সংস্থার নজরে এবারে চাইনিজ সংস্থাগুলি; উঠে আসল চাঞ্চল্যকর তথ্য

Breaking News : গোয়েন্দা সংস্থার নজরে এবারে চাইনিজ সংস্থাগুলি; উঠে আসল চাঞ্চল্যকর তথ্য

সার্বভৌম সমাচার : একদিকে গ্যালভান উপত্যকায় চীনা সেনাবাহিনীর যোগ্য জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সৈন্যরা, অন্যদিকে দিল্লী থেকে চীনের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভাঙতে তৎপর মোদী সরকার। আবার দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এখন চীনা সংস্থাগুলির দিকে নজর দিচ্ছে। জানা যাচ্ছে, চীনা সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মির সাথে চীনা সংস্থাগুলির গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ইতিমধ্যেই গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ওই সংস্থাগুলির বিষয়ে মোটামুটি খোঁজখবর নিয়ে ফেলেছে। এমনকি সরকার একটি তালিকাও তৈরি করে ফেলেছে। আগামীতে ওই সংস্থাগুলির বিষয়ে বড় পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।

২০১৭ সালের জুন মাসে চীন একটি আইন করেছে। যাতে বলা হয়েছে যে, সে দেশের হুয়াওয়ে, জেডটিই, টিকিটক প্রভৃতি চীনা সংস্থাগুলি যেখানেই কাজ করুক না কেন সেখান থেকে চীনের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে বাধ্যতামূলক সহায়তা করতে হবে। আর ওই আইনের অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রতিটি সংস্থা বা নাগরিককে জাতীয় গোয়েন্দাদের কাজের সমর্থন করাও বাধ্যতা মুলক।

আরও পড়ুন--

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার মতে ভারতে সরাসরি চীন থেকে আসা সব ধরণের বিনিয়োগ নিরাপত্তার উপর প্রভাব ফেলছে। এবারে জেনে নিন কিভাবে ভারতে কর্মরত কিছু চিনা সংস্থার তালিকা; যারা সরাসরি চীন সেনাবাহিনীর সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যুক্ত রয়েছে:-

১। সিন্ডিয়া স্টিল লিমিটেড : এটি ভারত ও চীনের মধ্যে বৃহত্তম যৌথ চুক্তি। সম্প্রতি, কর্ণাটকে আড়াইশো কোটি টাকার প্রজেক্টে কাজ করেছে। এর প্রধান বিনিয়োগকারী হলেন জিনজিং (জিনজিং) ক্যাথে ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ। এর ওয়েবসাইট অনুসারে, এটি পিএলএর সাধারণ লজিস্টিক বিভাগের নির্দেশে তৈরি। এছাড়াও জিনজিং (জিনজিং) ক্যাথে ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ ছত্তিশগড়েও এক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রযোজনা সংস্থা তৈরি করেছে। এর বাৎসরিক টার্নওভার ৩০০০ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন--



২। চীন ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি গ্রুপ কর্পোরেশন (সিইটিসি)। যা অন্ধ্রপ্রদেশে ২০০ মেগাওয়াট ইউনিটের জন্য ৩২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবার ঘোষণা করেছে। এটি চীনে সামরিক বাহিনীর জন্য বৈদ্যুতিক পণ্য তৈরি করে থাকে। এছাড়াও সিসিটিভি ক্যামেরা তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এজন্য ইতিমধ্যেই জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে মার্কিন সরকার এটিকে নিষিদ্ধ করেছে। এই সংস্থাকে সামরিক গুপ্তচরবৃত্তি করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছিল।

৩। হুয়াওয়ে: এটি ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১৮-১৯ সালে ভারত থেকে ১২,৮০০ কোটি টাকা আয় করেছে এই সংস্থা। এই সংস্থা স্মার্টফোন এবং মোবাইলের ডিভাইস তৈরি করে থাকে।

৪। চীনের সামরিক সিভিল ফিউশন উদ্যোগ- সম্প্রতি মার্কিন গোয়েন্দা দপ্তরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুনভাবে অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে লক্ষ্য করে সামরিক ও নাগরিক সংমিশ্রনের বিষয়ে চীন সরকার কিছু নীতি গ্রহণ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে আলিবাবা এবং টেনসেন্ট ইত্যাদি।

আরও পড়ুন--



আলিবাবা এই উদ্যোগে চীনের জাতীয় এআই দলের অংশ। আলিবাবা পেটিএম এবং পেইটিএম মল সহ ভারতের স্টার্ট আপগুলিতে বিনিয়োগ করেছে। টেনসেন্ট ভারতের ওলা ক্যাবসে ৪০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে এবং পরে ফ্লিপকার্টে ৭০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে। বলা হচ্ছে, এটিই ভারতে চীনের বৃহত্তম বিনিয়োগ।

হাইক ম্যাসেঞ্জার ১৭৫ মিলিয়ন ডলার, বিজুতে প্রথমে চল্লিশ মিলিয়ন ডলার এবং পরে ১১.৪ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে ওই চিনা সংস্থা। এছাড়াও ভারতীয় খাদ্য বাজারে সুইগিতেও এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।

আরও দেখুন--

Post a Comment

Previous Post Next Post