করোনা যুদ্ধে প্রথম অস্ত্র নির্মাণ রাশিয়ার,তৈরি হলো বিশ্বে প্রথম করোনা ভ্যাকসিন

করোনা যুদ্ধে প্রথম অস্ত্র নির্মাণ রাশিয়ার,তৈরি হলো বিশ্বে প্রথম করোনা ভ্যাকসিন

অম্লিতা দাস : করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন লঞ্চের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললো রাশিয়া।মহামারির এই আতঙ্কের মধ্যে ২মাসে ট্রায়ালে ঘোষণা করলো  ভ্যাকসিনের প্রস্তুতির খবর।

দেশে দেশে যখন বেড়েই চলছে করোনা সংক্রমণ এই সময় স্বস্তির খবরের সাথে রাশিয়া।মঙ্গলবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লামিদ পুতিন জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রক দ্বারা অনুমোদিত এই ভ্যাকসিনের কথা।প্রথমে প্রয়োগ করা হয় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের মেয়ের ওপরেই।মহামারির এই মর্মান্তিক সময় পুতিন গামেলিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং রাশিয়ান ডিফেন্স মিনিস্টারির ঐক্যবদ্ধভাবে করোনা ভাইরাসের টিকা তৈরির খবর জানান।১২জুলাই রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয় ভ্যাকসিনের ট্রায়াল সফলভাবে শেষ করেছেন তাঁরা।

২২শে জুলাই রুশ সেনাবাহিনী রুশ বাহিনীর সূত্রে খবরে ভ্যাকসিন প্রস্তুতির কথা জানা যায়।মানব শরীরে ভ্যাকসিন সফল বলেই দাবি রাশিয়ার।প্রথম ধাপে তাদের এই টিকা দেওয়া হয়,তাঁরা অনেকেই সুস্থ বলে দাবি রাশিয়ার,তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা দ্রুত শুরু করা হবে।বিজ্ঞানীদের মতানুযায়ী তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এই ধাপে কয়েক হাজার মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হয় টিকা,শুধুমাত্র টিকার নির্দিষ্ট কাজই নয়,তার সাথেই কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা,সেদিকেও নজর রাখতে হয়।রুশ প্রেসিডেন্ট নির্দেশ দিয়েছেন অন্তত ৬০ শতাংশ রুশ নাগরিকের ওপর এই টিকা প্রয়োগের জন্য।পুতিনের বিশ্বাস খুব তাড়াতাড়ি এই টাকা দেওয়া হবে গণহারে।

আরও পড়ুন--



তবে এই ভ্যাকসিন নিয়ে ইতিমধ্যেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাঁদের মতানুযায়ী আগে হিউম্যান ট্রায়াল জরুরি। রাশিয়া ২মাসের মধ্যেই এই ট্রায়াল শেষ করেছে সবে।অনেকে মনে করছেন প্রথম হওয়ার লক্ষেই কি এই সিদ্ধান্ত রাশিয়ার?যেখানে আমেরিকা,ইংল্যান্ড, ভারত সকলেই ভ্যাকসিন তৈরির পথে ছিল সেখানেই রাশিয়া সবার আগে ভ্যাকসিন নিয়ে প্রস্তুত। আগেও ঠান্ডা লড়াইয়ের সময় আমেরিকা যখন মহাকাশে যাওয়ার কথা ঘোষণা করতে যাবে ঠিক তার চারদিনের মধ্যে মহাকাশে যান পাঠান মস্কো। এই প্রথম হওয়ার লক্ষ নিয়েই কি ভ্যাকসিনের আবিষ্কার?সংশয় কিছুটা থেকেই যায়।

বিশ্ব এখন ভ্যাকসিনের আশায়।রাশিয়া কবে এই ভ্যাকসিন বাজার জাত করবে তার অপেক্ষায় দিন গুনছে পৃথিবীবাসী।


Post a Comment

Previous Post Next Post