প্রতিনিধি, কলকাতা : মঙ্গলবার দুর্নীতির অভিযোগে বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে আবারো উত্তেজনা ছড়ালো রাজ্যে। এই ঘটনায় মোট 20 জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, যারা পুলিশ কর্মীদের নিগ্রহ এবং গাড়িতে অগ্নি সংযোগ এর সাথে যুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের একটি প্রশাসনিক বৈঠকে মাননীয়া বলেন "পুলিশ চাইলেই গুলি চালাতে পারতো কিন্তু শান্তভাবে সমস্ত পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। গণতান্ত্রিক দেশে আমরা কাউকেই আন্দোলন করতে বারণ করছি না কিন্তু গুন্ডামি এটার অংশ হতে পারে না। এর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"
এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন যে বিজেপি বিহার ও অন্য জায়গা থেকে লোক ভাড়া করে এনে এখানে সমস্যা সৃষ্টি করছে। তবে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব এই বিষয়টি মানতে নারাজ। অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ দেবজিৎ চ্যাটার্জি গুরুতরভাবে আক্রান্ত হয়ে এসএসকেএম হসপিটালে বুধবার বিকেল থেকে ভর্তি আছে।
তিনি ডান হাত সহ বিভিন্ন জায়গায় চোট পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। “এই হিংসার সাথে কোনোভাবেই বিজেপির কোন কর্মীর যুক্ত নয়।এই ধরনের হিংসার জন্য তৃণমূলই দায়ী এবং তৃণমূলের লোকেরাই এই হিংসার পরিণতি দিয়েছে” বলে দাবি করছেন বিজেপি প্রেসিডেন্ট সুকান্ত মজুমদার।
এখনো অবধি সূত্রের খবর মোট ২৭ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ বলেন যে এটা "শুধুমাত্র মানুষের মনোযোগ অন্যদিকে আনার চেষ্টা তৃণমূলের। একটি শান্তিপূর্ণ মিছিলে যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে তাহলে সংবিধানের উপর আস্থা রেখে আমরা আগামী পদক্ষেপ নেব"।
ঘটনাটি মূলত সাতরাগাছি- হাওড়া, মহাত্মা গান্ধী রোড ,বড় বাজার এলাকায় ঘটেছে এবং আন্দোলনকালীদের মোকাবেলায় পুলিশ লাঠি ,কাদানি গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করেছে তাকে ছত্রভঙ্গ করতে গেলেও কোথাও গুলি চালায়নি বলে জানা গিয়েছে।
হাওড়া জগাছা পুলিশ স্টেশনের আইসি সতীনাথ চট্টরাজ ও কলকাতা জোড়াবাগান পুলিশ স্টেশনের অতিরিক্ত অফিসার ইনচার্জ ও হসপিটালে ভর্তি আক্রান্ত হওয়া দরুন। কলকাতা মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই দিন হসপিটালে যান তাদেরকে দেখতে।
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে বিজেপি কর্মীরা পিটিশান দেয়। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের মুখ্য বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারক রাজশ্রী রায় দেন "সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে অযথা কোনো গ্রেপ্তার অথবা আটক নয়"।
সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য দিলীপ বাবুরা বলেছিলেন সিআরপিএফকে বুকে গুলি করতে আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন মাথায় গুলি করতে মানুষ সব বুঝে নেবেন।সব মিলিয়ে আবারও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।