সমাচার
: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণা অনুযায়ী আজ গোটা দেশে পালিত হচ্ছে “জনতা কারফিউ”।
গত ১৯ মার্চ করোনা সংক্রমণ রুখতে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ২২ মার্চ সারা দেশে
“জনতা কারফিউ” পালন করবার আর্জি জানিয়ে ছিলেন। আজ ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর সেই আর্জি
মত গোটা দেশে পালিত হচ্ছে জনতা কার্ফু। জম্মু কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী সর্বত্র এক
ছবি। জনমানুষ শূন্য রাস্তাঘাট। জরুরি পরিষেবার দোকান ছাড়া সবটাই বন্ধ রয়েছে। সকাল
থেকেই নিস্তব্ধ দেশের শহর থেকে গঞ্জ। করোনা ভাইরাস রুখতে ও এই ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে
কেন্দ্রীয় সরকারের আবেদনে সারা দেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা লক্ষ্য করা গেল।
সম্পূর্ণ বনধের চেহারা দেখা গেল গোটা রাজ্য তথা দেশের সর্বত্র। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দেশে। পরিস্থিতি সামাল দিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতা তৈরি হয়েছে দেশে।
জরুরি পরিষেবা ছাড়া দোকানবাজার বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
আজ থেকে
বিদেশের বিমান ভারতে ঢোকাও বন্ধ হয়েছে । সেইমত
ট্রেন পরিষেবাও বন্ধ করা হল। ইতিমধ্যেই দেশের সব যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
জারি করেছে রেল কতৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, আগামী
৩১ মার্চ পর্যন্ত সব ট্রেন পরিষেবা বাতিল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল মন্ত্রক।
আজ ভারতীয় রেল বোর্ডের জয়েন্ট ডিরেক্টর/ টিটি/ পাঞ্চুয়ালিটি বিভাগের অজয় প্রতাপ
সিং এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা ঘোষণা করেছেন।
এই মুহূর্তে
৪০০ মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন যাত্রা করছে। সেগুলি গন্তব্যে পৌঁছে গেলে আর কোনও নতুন
ট্রেন ছাড়বে না দেশের কোনও প্রান্ত থেকে। দেশের সব বড় রেলস্টেশন খালি করার নির্দেশ
জারি করেছে রেল দপ্তর। যাতে কোনও ভিড় না হয় সেকারণেই এই নির্দেশিকা বলে জানানো হয়েছে।
এতে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই এড়ানো যাবে এমনই মনে করা হচ্ছে।