২৩ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত রাজ্য lock down, ঘোষণা প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির

জেনে রাখুন কাল থেকে কি কি মিলবে; কি কি মিলবে না

রাজ্যের মুখ্যসচিবের স্বাক্ষরিত এক নির্দেশে আজ জানানো হয়েছে, সোমবার ২৩ মার্চ বিকেল পাঁচটা থেকে ২৭ তারিখ মধ্য রাত পর্যন্ত নিন্মলিখিত নির্দেশিকা লাগু হবে। নির্দেশাবলী অমান্য করলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধের মামলার মুখে পড়তে হবে।

২৩ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত রাজ্য lock down, ঘোষণা প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির



বিশেষ করে জানানো হয়েছে, ৭ জনের বেশি মানুষ এক জায়গায় জড়ো হওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।নিন্ম লিখিত নির্দেশ কার্যকর করবার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সমস্ত জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার, পুর কমিশনার, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলাশাসক, সিএমওএইচ, এসডিও, বিডিও-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজ্য সরকারের নতুন নির্দেশিকা । সম্পূর্ণ নিরাপত্তাজনিত বিধিনিষেধের তালিকা নিন্মে দেওয়া হল।

কাল থেকে কী কী মিলছে না বা কী কী মেনে চলতে হবে; আসুন একনজরে দেখে নিই-

·    ট্যাক্সি, অটোরিকশাসহ স্থানীয় কোনও যান চলাচল করবে না।

·    সমস্ত দোকান, বাণিজ্যিক সংস্থা, অফিস, কারখানা, ওয়ার্কশপ, গোডাউন বন্ধ থাকবে।

·    বিদেশ থেকে আগত সকলকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বাড়িতে কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে। কতদিন পর্যন্ত থাকতে হবে তা স্থির করে দেবে স্থানীয় স্বাস্থ্যপ্রশাসন।

·    আপৎকালীন কারণ ছাড়া, সকলকেই বাড়িতে থাকতে হবে এবং বাড়ির বাইরে বেরোতে হলে কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে।



·    তবে হাসপাতাল, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, ও বাস টার্মিনালে যাতায়াতকারী গাড়ি এবং খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বহনকারী গাড়ির ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে না।



২৩ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত রাজ্য lock down, ঘোষণা প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির


উপরোক্ত বিধিনিষেধের আওতায় যে সব সংস্থা পড়বে না সেগুলি হল-

১) আইনশৃঙ্খলা, আদালত, সংশোধনাগার

২) স্বাস্থ্য পরিষেবা

৩) পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী ও আধা সেনা

৪) বিদ্যুৎ, জল ও সংরক্ষণ

৫) দমকল, অসামরিক নিরাপত্তা ও আপৎকালীন ব্যবস্থা

৬) টেলিকম, ইন্টারনেট, তথ্যপ্রযুক্তি, তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর পরিষেবা, ডাকবিভাগ

৭) ব্যাঙ্ক ও এটিএম

৮) রেশন সহ খাদ্য, মুদি দোকান, শাকসব্জি, ফল, মাংস, মাছ, পাঁউরুটি ও দুধ বিক্রি, মজুত ও পরিবহণ

৯) মুদি ও খাবারের ই কমার্স, ও বাড়ি বাড়ি পৌঁছনোর পরিষেবা

১০) পেট্রোল পাম্প, গ্যাস, তৈল সংস্থার গুদাম ও পরিবহণ

১১) ওষুধের দোকান, চশমার দোকান, ওষুধ বিক্রি ও পরিবহণ

১২) যেসব সংস্থাকে নিয়মিত উৎপাদন চালিয়ে যেতে হয় তাদের কাজও চলতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে জেলাশাসকের অনুমতি লাগবে

১৩) সংবাদমাধ্যম ও সোশাল মিডিয়া

১৪) অত্যাবশকীয় পণ্যের জন্য প্রয়োজনীয় উৎপাদন সংস্থা

এছাড়াও মহামারী আইনের প্রেক্ষিতে আগের যেসব নির্দেশাবলী দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি সবই কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে রবিবারের নির্দেশে। প্রয়োজনবোধে সরকারের তরফে আরও ব্যাখ্যা বা সংশোধনী জারি করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post