তিনবার পিছিয়ে অবশেষে ফাঁসি হল নির্ভয়া কাণ্ডের চার অভিযুক্তের


তিনবার পিছিয়ে অবশেষে ফাঁসি হল নির্ভয়া কাণ্ডের চার অভিযুক্তের

সমাচার ওয়েব ডেস্ক ঃ দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটল। অবশেষে জয় পেল নির্ভয়ার পরিবার। যেভাবে একের পর এক ফাঁসির দিন পিছিয়ে জাচ্ছিল তাতে এক প্রকার প্রশ্ন উঠছিল আদেও ফাঁসি হবে তো। আইনের ফাঁক বের করে একাধিক সুযোগ ও নিচ্ছিল অপরাধীরা কিন্তু অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটল। ২০২০ সালের ২০ মার্চ শুক্রবার ভোর ৫ টা ৩০ মিনিট এ ফাঁসি হল চার অপরাধীর।


তিনবার পিছিয়ে অবশেষে ফাঁসি হল নির্ভয়া কাণ্ডের চার অভিযুক্তের

স্মরণ করা যাক সেদিনের কথা, ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাত্রি ৯টা ৩০মিনিট। 'লাইফ অব পাই' সিনেমা দেখে মুনিরকা থেকে দ্বারকাগামী বাসে চড়ে বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন। তখন বাসে চালকসহ মাত্র ৮ জন যাত্রী। এর মাঝেই বাসের একজন সাহায্যকারী এস হঠাৎ‍ই তাদের বলে যে তারা দ্বারকা যাচ্ছেন। সন্দেহ গাঢ় হয় যখন বাসটি তার নির্ধারিত রুট ছেড়ে অন্য রুটে ঢুকে পড়ে। তারা দুজনেই বিপদ বুঝতে পারেন। লক্ষ্য করেন বাসের যাত্রীরা তাদের দিকে সরে এসে বসে। এক কথায় তারা যেন ধীরে ধীরে ঘিরে ফেলছে ওঁদেরকে। ওঁরা দুজনেই জানতে চান যে বাসটি আসলে কোথায় যাচ্ছে এবং যাত্রীদের আচরণের প্রতিবাদ জানান।

পাল্টা প্রশ্ন আসে যে তারা এত রাতে একসঙ্গে কি করছে? এরপরে কিছু বোঝার আগে চোখের পলকে লোহার রড দিয়ে দুজনকেই পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়। জ্যোতিকে অর্থাৎ নির্ভয়াকে বাসের এক কোনায় নিয়ে গিয়ে বেধরক মারধোর করা হয়। ড্রাইভার ছাড়া একে একে প্রত্যেকে তাঁকে ধর্ষণ করে। তারপর রাস্তায় ফেলে দেয়। তাতেও ক্ষান্ত হয় না ধর্ষণকারীরা। তার দেহটি ধর্ষণকারীরা তাদের গাড়ি দিয়ে পিষে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। তারপর তাকে ফেলে যায় গ্রামের একটি পরিত্যক্ত জায়গায়। চারদিন ধরে দেহটি ছিন্নভিন্ন অবস্থায় ওভাবেই পড়ে ছিল।

তারপর যখন গ্রামবাসীদের কারও সেটি চোখে পড়ে, ততদিনে রাস্তার কুকুররা তার মাথার ও শরীরের নানা অংশ খুবলে খেয়ে নিয়েছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা দেখতে পেয়েছেন, তার যৌনাঙ্গও ছিল ছিন্নভিন্ন। রোহটাক মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান এস কে ধাত্তরওয়াল জানান, তার যৌনাঙ্গের ভেতর দিয়ে বাইরের কোনও ধাতব জিনিস প্রবেশ করানো হয়েছিল। এর চেয়ে নৃশংস আর কি হতে পারে। তাও সেই রাতের মূল চার দোষীকে ফাঁসি দিতে সময় লেগে গেল আট বছর।

Post a Comment

Previous Post Next Post