আবারও এক নক্ষত্রপতন, চলে গেলেন স্ট্রাইকার চুনী গোস্বামী

আবারও এক নক্ষত্রপতন, চলে গেলেন স্ট্রাইকার চুনী গোস্বামী

সার্বভৌম সমাচার ওয়েব ডেস্ক ঃ একের পর এক নক্ষত্রপতন ঘটে চলেছে দেশে। গতকাল বৃহস্পতির বলিউডের প্রথম চকোলেট হিরো ইরফান খানের পর, তারপর রুপোলি পর্দার কিংবদন্তি সুপার-ডুপার হিট হিরো ঋষি কাপুরের প্রয়াণ; আজ বিকেল গড়াতেই আরেক দুঃসংবাদ বয়ে এল। চলে গেলেন প্রবাদপ্রতিম ফুটবলার চুনী গোস্বামী।

১৯৩৮ সালের ১৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে জন্ম হয় সুবিমল গোস্বামী ওরফে চুনী গোস্বামীর। ১৯৫৪ মোহনবাগানের হয়েই সিনিয়র ফুটবলে কেরিয়ার শুরু হয় তাঁর। জাতীয় দলে মাত্র ৮ বছরের মধ্যে ৫০ ম্যাচ খেলেছিলেন চুনী গোস্বামী।

বিশ্বমানের স্ট্রাইকার চুনীর ফুটবল প্রতিভার ব্যপ্তি ছড়িয়ে পড়েছিল বিদেশেও। ১৯৫৬ চিনের অলিম্পিক দলের বিরুদ্ধে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। জাতীয় দলের জার্সিতে ১৯৬২ সালে তাঁর সবচেয়ে উজ্জ্বলতম বছর ছিল। ওই বছরই তাঁর অধিনায়কত্বে জাকার্তা এশিয়াডে সোনা জেতে ভারত। এরপর ওই বছরই এশিয়ার সেরা স্ট্রাইকারের তকমা ছিনিয়ে নিয়েছিলেন চুনী।


আবারও এক নক্ষত্রপতন, চলে গেলেন স্ট্রাইকার চুনী গোস্বামী


শুধু ফুটবলেই নয়। ক্রিকেট কেরিয়ারও বেশ উল্লেখযোগ্য। জাতীয় দলের হয়ে না খেললেও প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে একজন দাপুটে অল-রাউন্ডার ছিলেন তিনি। ৪৬টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে ১টি শতরান ও ৭টি অর্ধশতরান সহ মোট ১৫৯২ রান এবং ৪৭ উইকেট নিয়েছিলেন চুনী গোস্বামী।

ক্রিকেটেও বাংলা দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭১-৭২ সালে তাঁর নেতৃত্বে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে উঠেছিল বাংলা। তবে ব্রোবোর্ন স্টেডিয়ামে বোম্বের কাছে হেরে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট হতে হয় বাংলাকে। তিনি ১৯৬৩ 'অর্জুন' ও ১৯৮৩ 'পদ্মশ্রী' সম্মানে সম্মানিত হয়েছিলেন। ১৯৯১-৯২ জাতীয় ফুটবল দলকে কোচিংও করিয়েছেন।

পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে যোধপুর পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বিকেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন তিনি।



আরও খবর দেখুন--







Post a Comment

Previous Post Next Post