সমাচার
ঃ রাজ্যজুড়ে ইতিমধ্যে স্যানিটাইজারের আকাল দেখা দিয়েছে, সেই ঘাটতি মেটাতে সম্পূর্ণ
নিজের উদ্যোগে তৈরি করছেন মাক্স, স্যানিটাইজার করছেন বসিরহাট পৌরসভার ৮, নম্বর ওয়ার্ডের
সাই পালা এলাকার বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র সান্তনু- সাহা, পাশে পেয়েছে মা চন্দ্র সাহা,
বাবা শম্ভু সাহা। সেই অর্থও যোগান দিচ্ছে বাবা। উদ্দেশ্য একটাই সমাজের দীন-দরিদ্র রিকশাওয়ালা,
পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আর তাই রাত জেগে তৈরি করছে স্যানিটাইজার, মাক্স।
একদিকে
করোনার সর্তকতা, অন্যদিকে স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া। এই বার্তা নিয়ে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে
পাড়ায় বেরিয়ে পড়ছে সকাল থেকে। এলাকার মানুষের ঘরে ঘরে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মাক্স
ও স্যানিটাইজার পৌঁছে দিচ্ছেন এই ছাত্র। এগুলি তৈরি করছে রাত জেগে, আর তার পরদিন সকাল
হলেই নিজের এলাকার বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে, উদ্দেশ্য একটাই সচেতনতা বার্তা দেওয়া। ইতিমধ্যে
স্যানিটাইজার মাক্স যারা কিনতে পারছে না অর্থ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। যেসব সমাজের পিছিয়ে
পড়া মানুষেদেরকে এগুলি দিচ্ছে ওই ছাত্র।
পাশাপাশি
ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী সক্রিয় তৃণমূল কর্মী ছাত্রের বাবা শম্ভু সাহা, মা চন্দা সাহা,
ছেলের এই কাজে গর্ব বোধ করছেন, তিনি পাশে দাঁড়িয়েছেন। সব রকম ভাবে এই জিনিসগুলো তৈরি
করতে যে অর্থ লাগছে তিনি জোগান দিচ্ছেন। এই সংকট মুহূর্তে নিজের উদ্যোগে চাল, ডাল,
আলু, সরষের তেল প্যাকেট বন্দি করে নিজের এলাকায় কয়েকশো মানুষকে দেওয়া শুরু করেছেন। সব মিলিয়ে বসিরহাটের
সাহা পরিবারের নজরে আমজনতা।