বিদ্যাধরীর জোয়ারের জলে ক্ষতিগ্রস্থ কাঁচাবাড়ি, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি চাষবাসে

বিদ্যাধরীর জোয়ারের জলে ক্ষতিগ্রস্থ কাঁচাবাড়ি, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি চাষবাসে

সার্বভৌম সমাচার, বসিরহাট ঃ করোনাভাইরাস এর জেরে কাজ হারিয়ে সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ দিশেহারা। রোজগার কমে গেছে গ্রামীণ এলাকায়। কিছু মানুষ এখন চাষবাসের উপরেই নির্ভরশীল। এবারে সেই চাষবাসেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা দেখছেন এলাকাবাসীরা।

সাম্প্রতিক ঝড়জলের কারনে উওর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার মিনাখাঁ ব্লকের চৈতল অঞ্চলে বিদ্যাধরী খালের জোয়ার ভাটার জল দীর্ঘদিন ধরে নেড়ুলি, সরদারপাড়া, গাজিপাড়া, মণ্ডলপাড়া, গোলাঘাটা, আবাদ ভেটকিমারি সহ কয়েকটি গ্রামে ঢুকে পড়ছে। আর সে কারনে প্রায় ২০০ বিঘারও বেশি জমির চাষবাস রীতিমত বন্ধের মুখে। এমনকি কিছু কাঁচা বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিদ্যাধরীর জোয়ারের জলে ক্ষতিগ্রস্থ কাঁচাবাড়ি, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি চাষবাসে

আয়লা ও বুলবুল ঝড়ের ক্ষত এখনও সামলে উঠতে পারেননি ওই এলাকার মানুষ। আর তার উপর করোনার দাপট; এবারে বিদ্যাধরী খালের জোয়ার ভাটার জলে আবারও বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েছে চৈতল অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রাম। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মেছো ভেড়ির মাছ চাষের সুবিধা দেওয়ার জন্য এই অতিরিক্ত জোয়ার দেওয়া হয় এবং সেই জলে মাছ চাষ করেন এলাকার ফিশারি ব্যবসায়ীরা। আর ওই জোয়ারের জলেই মাথায় হাত পড়েছে শস্য চাষীদের।

বিদ্যাধরীর জোয়ারের জলে ক্ষতিগ্রস্থ কাঁচাবাড়ি, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি চাষবাসে

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মেছো ভেড়ির মালিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে এই অতিরিক্ত জোয়ারের জল ঢুকিয়ে দেয় এলাকারই সুইচগেট পরিচালন কমিটি। এই ঘটনায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপও দাবি করছেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, সরকার যদি তাদের পাশে না দাঁড়ায় তাদের পক্ষে চাষ করা সম্ভব নয়।

গ্রামবাসীরা বলছেন, মিনাখার বিডিও শেখ কামরুল ইসলাম কে বিষয়টি জানানো হয়েছে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।


আরও খবর দেখুন—









Post a Comment

Previous Post Next Post