Coronavirus : পেট্রাপোলবাসীর দীর্ঘ লড়াইয়ের সাফল্য; অবশেষে বন্ধ হল ভারত-বাংলাদেশের পণ্য পরিবহন

Coronavirus : পেট্রাপোলবাসীর দীর্ঘ লড়াইয়ের সাফল্য; অবশেষে বন্ধ হল ভারত-বাংলাদেশের পণ্য পরিবহন
File Picture

সার্বভৌম সমাচার ওয়েব ডেস্ক ঃ লকডাউনের ফলে প্রায় ৩৭ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৩০ এপ্রিল আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য খুলেছিল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পেট্রাপোল বর্ডার। এরপর উত্তর ২৪ পরগণা জেলার পেট্রাপোল বর্ডার এলাকার সাধারন মানুষ, গ্রামবাসীদের ও শ্রমিকদের বিক্ষোভের জেরে বন্ধ করতে হয়েছে বাণিজ্য। যা নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতর।

বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক অভিযোগ করেছে রাজ্য সরকার কোনও রকম আইনি বিজ্ঞপ্তি জারি না করেই একতরফা সীমান্ত বন্ধ করে জরুরি পণ্য আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। সূত্রে খবর, এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিব অজয় ভাল্লা এই ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে চিঠিতে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একতরফা পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক প্রভাব ফেলবে।


আরও খবর পড়ুন--

তিনি আরও লিখেছেন, “২৪ এপ্রিল সমস্ত ইন্দো-নেপাল, ইন্দো-ভুটান এবং ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তের মাধ্যমে অত্যাবশকীয় পণ্য পরিবহনের অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এবং রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরের থেকে সম্মতি চাওয়া হয়েছিল। এই বিষয়ে, আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে সম্মতি রিপোর্ট পাইনি”।

Coronavirus : পেট্রাপোলবাসীর দীর্ঘ লড়াইয়ের সাফল্য; অবশেষে বন্ধ হল ভারত-বাংলাদেশের পণ্য পরিবহন
# File Picture

অজয় ভাল্লার তার চিঠিতে দাবি করেছেন, “ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে পণ্য পরিবহন আবারও শুরু করা যায়নি। বাংলাদেশ থেকে ফেরার সময় অনেক ট্রাক চালককে ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। চালকরা বাংলাদেশে আটকে পড়েছেন। বিভিন্ন সীমান্ত ক্রসিং পয়েন্টে অনেক ট্রাক আটকে রয়েছে”।

তবে স্বরাষ্ট সচিব বলেছেন, “পার্শ্ববর্তী দেশগুলির সঙ্গে চুক্তি অনুসারে সীমান্ত বাণিজ্যের জন্য কোনও রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পণ্য পরিবহন বন্ধ করতে পারে না। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রয়োজনীয় পণ্য চলাচল বন্ধে একতরফা পদক্ষেপ নিয়েছে, যার কারণে আরও বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। সমস্যায় পড়তে পারে ভারত সরকার। কারণ এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত রয়েছে”।

আরও খবর পড়ুন--

স্বরাষ্ট্র সচিব উল্লেখ করেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার আন্তর্জাতিক কার্গো চলাচল করতে দিচ্ছে না, যা ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইনের অধীনে দেওয়া আদেশ লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া এই সিদ্ধান্ত ভারতের সংবিধানের ২৫৩, ২৫৬ এবং ২৫৭ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন করছে। চিঠিতে ভাল্লা আবারও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দেরি না করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে পণ্য পরিবহনের অনুমতি দেওয়া এবং বুধবারের মধ্যেই সীমান্ত খোলার সম্মতি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।


আরও খবর দেখুন--









Post a Comment

Previous Post Next Post