মানবিকতার নতুন মুখ, পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র মিড ডে মিলের খাবার দিল অসহায় বৃদ্ধকে

মানবিকতার নতুন মুখ, পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র মিড ডে মিলের খাবার দিল অসহায় বৃদ্ধকে

সার্বভৌম সমাচার, বসিরহাট ঃ লকডাউনে অসহায় মানুষকে সাহায্য করতে এগিয়ে এল হাসনাবাদের বিপি প্রাইমারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনের হাসনাবাদ ব্লকের লেবুখালী রোডের শিমুলিয়া রাস্তার পাশে বসবাস করেন সত্তরোর্ধ্ব সন্তোষ দাস। তার স্ত্রী ছাড়া আর কেউ নেই। এক চিলতে কুঁড়েঘর থাকবার একমাত্র বাসস্থান। দিন আনা দিন খাওয়া কখনো লোকের বাড়িতে কাজের বিনিময় দুটো খাওয়ার পাওনা হতো। আবার কখনো ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত এই বৃদ্ধের।

লকডাউন করোনা সচেতনতা বার্তা জন্য ঘর থেকে বেরোতে পারছে না। আর তাই ঠিকমত দু'বেলা আহারও জুটাতে পারছেনা। মুখের চামড়া কুঁচকে গিয়েছে। কুড়ে ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর আকুল আবেদন, “অসহ্য ঝিদের এর জ্বালা। কিন্তু পথচলতি মানুষকে ডাকলে কেউ দেখেও দেখছে না”।

এইসবের মধ্যে স্থানীয় হাসনাবাদের বিপি প্রাইমারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র সুশংকর দাস তাঁর মিড ডে মিল খাবার নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। তখন রাস্তার পাশে রাস্তার দিকে তাকিয়ে বসে আছে বৃদ্ধ সন্তোষ দাস। এরপর বৃদ্ধ সন্তোষ দাসের কাছে গিয়ে নিজের বরাদ্দ খাবারের চাল, ডাল, আলু, তেল, সবটুকুই দিয়ে দিল।

এত গেল পরোপকারী ভাবনা। এবারে জানুন পঞ্চম শ্রেণীর ওই ছাত্র সুশংকর দাসের ইতিবৃত্ত।জানা গিয়েছে, জন্মানোর পর থেকে বাবার মুখ দেখেনি সুশংকর। দিদা মালতি দাসের কাছেই ছোটবেলা থেকে মানুষ হয়েছে সে। তার বাবা ভবতোষ দাস ও মা সান্তনা দাস তাদের একমাত্র সন্তান সুশংকরকে ছেড়ে চলে গেছে। ষাটোর্ধ্ব দিদা মালতি দাসের কিছু জমি আছে সেখানে চাষবাস করেই নাতিকে মানুষ করছেন। কোনরকম ভাবে তাদের সংসার চলে। ছোটবেলা থেকেই খাবারের অভাবে বড় হচ্ছে সুশংকর।নিজের চোখে দেখেছে বাস্তবের লড়াইটা কতটা কঠিন।

তার দিদা মালতি দাস বলেন, “নাতি মিড ডে মিলের খাবার অসহায় বৃদ্ধকে তুলে দিয়েছেন, তাতে আমার গর্ব বোধ হচ্ছে”।

আরও খবর দেখুন--










Post a Comment

Previous Post Next Post