বাঁধভাঙা বৃষ্টিতে বেকুব বঙ্গ, সতর্কতা জারি জেলা জুড়ে

বাঁধভাঙা বৃষ্টিতে বেকুব বঙ্গ, সতর্কতা জারি জেলা জুড়ে

অম্লিতা দাস : নিম্নচাপের ফলে এবার নয়া বিপত্তি।অবিরত বৃষ্টির ফলে সমুদ্রবাঁধ নদীবাঁধ ভেঙে জল ঢুকে পড়ল লোকালয়।

মাত্র ২ সপ্তাহের ব্যবধানে পর পর ২বার বাঁধ ভাঙলো তাজপুরে।তাজপুর থেকে শঙ্করপুর পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভের একাধিক জায়গায় ফাটলও তৈরি হয়েছে।এই ফাটলের দরুন বঙ্গপসাগরের নোনাজল প্রবেশ করছে রামনগর-১ ব্লকের তালগাছাড়ি-২ পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রামে।স্থানীয় মানুষকে এলাকা থেকে সরানোর ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।টানাভাবে বঙ্গে চলছে নিম্নচাপ পূর্ব মেদিনীপুর এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে প্রায় ১২৩মিলিমিটার।

অমাবস্যার ভরা কোটালে রূপনারায়ণের জল ঢুকেছে তমলুক শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণচড়া শঙ্করআড়া এলাকায়। জলপূর্ণ কোলাঘাট পুরাতন বাজার এবং তিনটি গ্রাম— কোলা, পাইকপাড়ি এবং সাহাপুরের একাংশ।কোথাও এক হাঁটু, কোথাও কোমর পর্যন্ত জলে নিমজ্জিত এলাকা।কোলাঘাটে একটি স্লুইস গেটের খারাপ দরজা থাকার কারণে জল ঢুকেছে বলে অভিযোগ।



আরও পড়ুন--

এছাড়াও জানা যাচ্ছে রূপনারায়ান বাঁধেও দু'জায়গায় ফাটল।বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাত আরো বাড়বে বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর।মঙ্গলবার থেকেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত শুরু হয় যা বেড়েই চলেছে।দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চল এবং গাঙ্গেয় অঞ্চলে বৃষ্টির আধিক্য।

বিশেষজ্ঞদের মতে এই বছর বন্যার সম্ভাবনা অনেক বেশি।ইতিমধ্যেই অসম, বিহার, কেরালা, রাজস্থান, কর্নাটক প্রায় বন্যার সম্মুখীন হয়েছে।বৃষ্টিতে কাবু ওড়িশাও।উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টিপাত হলেও কোচবিহার আলিপুরদুয়ারকে বন্যার কবলে পড়তে হয়নি।

আবহাওয়াবিদ জানান, জুলাই মাসে একটানা হিমালয়ে মৌসুমী অক্ষরেখার অবস্থান ছিল তার ফলেই উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি আর মৌসুমী অক্ষরেখার অবস্থান অগস্টে সরে এসে হয় দক্ষিণে ফলে একাধিক বন্যার নিদর্শন পাচ্ছে রাজ্য।একাধিক বন্যার ফলে বিপদের মুখোমুখি হচ্ছে এলাকাবাসী।


আরও দেখুন--

Post a Comment

Previous Post Next Post