লাদাখ সীমান্তে চিন-ভারত উত্তেজনার জন্য ভারতকেই দায়ী করল চিন


লাদাখ সীমান্তে চিন-ভারত উত্তেজনার জন্য ভারতকেই দায়ী করল চিন

সার্বভৌম সমাচার : লাদাখ সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য ভারতকেই সম্পূর্ণ ভাবে দায়ী করল চিন। শনিবার এক কড়া বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে চিন। মস্কোয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেঙ্ঘির ২ ঘন্টা এবং 20 মিনিটের ওই বৈঠকের পরই এই বিবৃতি দিয়েছে চিন। সেইসঙ্গে চিনের হুঁশিয়ারি, চিন তাদের এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না। সার্বভৌমত্ব রক্ষায় চিনের সেনা তৈরি রয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত-চিন সীমান্তের বর্তমান উত্তেজনার কারণ এবং প্রকৃত সত্য পরিষ্কার। এর দায়িত্ব ভারতেরই।


গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টা থেকে রাশিয়ার মস্কোয় ওই বৈঠক শুরু হয়। ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলে। রাজনাথের সঙ্গে ওই বৈঠকে ভারতের প্রতিরক্ষাসচিব অজয় কুমার এবং রাশিয়ায় ভারতের রাষ্ট্রদূত ডি বি ভেঙ্কটেশ বর্মাও উপস্থিত ছিলেন।

দিল্লিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, "লাদাখের সীমান্তের অবস্থানের সমাধানের জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংলাপ ছিল।"




সাংহাই কর্পোরেশন (এসসিও) সম্মেলন উপলক্ষে তিন দিনের সফরে রাশিয়া সফরে গেছেন রাজনাথ। ওই সম্মেলনে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীও উপস্থিত হয়েছেন। চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে  বৈঠকের আগে ‘এসসিও’ সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময়ে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ‘বিশ্বাসের পরিবেশ, অনাগ্রাসন, পরস্পরের প্রতি সংবেদনশীলতা এবং শান্তিপূর্ণভাবে মতপার্থক্য নিরসনের উপরেই আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিরতা নির্ভর করে।’


আরও পড়ুন--


দু’দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠক এমন এক সময়ে হয়েছে যখন পূর্বলাদাখের অনেক জায়গায় উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। পাঁচ দিন আগে চীন প্যাগং লেকের দক্ষিণ উপকূলে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল, যা ভারতীয় সেনা কর্তৃক ব্যর্থ করে দেওয়া হয়। তারপর থেকে দু'দেশেই উত্তেজনা বেড়েছে। তবে উভয়পক্ষই কূটনৈতিক ও সামরিকস্তরে আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত বিরোধ দূর করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

গত মে মাসে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় ও চীনা সেনার মধ্যে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পরে এই প্রথম দু’দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে মুখোমুখি বৈঠক হল। এরআগে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল আলাদা আলাদা ভাবে ফোনে কথা বলেছিলেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাস্তরে বৈঠক অবশ্য প্রায়ই অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

অন্যদিকে, শনিবারের ওই বৈঠকের আগে রাজনাথ সিংও বলেন, ওই অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন অনাক্রমণ, বিশ্বাসের আবহাওয়া। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানই লক্ষ্য হওয়া উচিত। চিনের বিবৃতিও বলেছে, চিনের চেয়ারম্যান জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যেকার সমঝোতার সূত্র মেনে আলোচনার টেবিলে সমাধান খোঁজা উচিত।


ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও কিছুদিনের মধ্যে রাশিয়া সফরে যাবেন। তিনি ‘এসসিও’র বিদেশমন্ত্রীদের সম্মেলনে অংশ নেবেন। চীন ও ভারতের বিদেশমন্ত্রী এখানে বৈঠক করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রণালয় অবশ্য বলেছে সভার সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার লাদাখে পৌঁছে জেনারেল নারভানে বলেন, “আমাদের সুরক্ষার জন্য আমরা সমস্ত সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা নিশ্চিত যে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাটি পুরোপুরি সমাধান করা যেতে পারে। আমাদের জওয়ানদের মনোবল অনেক বেশি এবং তারা যে কোনও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। আমি আবারও বলতে চাই যে আমাদের অফিসাররা বিশ্বের সেরা। তারা কেবল সেনাবাহিনীই নয়, গোটা দেশকে গর্বিত করবে।”


আরও দেখুন--




Tags-  #Bongaon #Samachar #Bongaon Samachar #Samachar #Sarbabhauma Samachar #Sarba Bhauma Samacar #Bongaon News #Today News #Today Bongaon News #bongaon news today live, #bongaon bengali news, #bongaon khabar, #bongaon samachar, #samachar bongaon,

Post a Comment

Previous Post Next Post