সমচার ওয়েবডেক্স : ফের প্রকাশ্যে এল তৃনমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সোমবার রাতে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ বাটা মোড়ে তৃণমূলের প্রতিবাদ সভায় বনগাঁ পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান গোপাল শেঠের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি এবং বিজেপি সঙ্গে যোগ সাজসের অভিযোগ এনে বেনোজির আক্রমণ বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা শংকর আঢ্যর৷
এদিনের প্রতিবাদ সভা থেকে শংকর বাবু বলেন "জল প্রকল্পের কাজ হচ্ছে না কেন? জানতে চাইলে বর্তমান চেয়ারম্যান বলেন টাকা নেই৷ ৮৬ কোটি টাকা রেখে গিয়েছিলেন পৌরসভার ফান্ডে৷ কোথায় গেল সেই টাকা৷ খাই খাই উৎসবে বিরিয়ানি চিকেন চাপ খেয়ে সেই টাকা খরচ করা হলো?
এছাড়াও বোর্ড মিটিং না করেই বনগাঁ নিউমার্কেটের ১৫ থেকে ১৬ টি দোকান সাত থেকে আট লক্ষ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে৷ পৌরসভার ফান্ডে জমা পড়েছে দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা করে৷ সুতি ব্যবসার হাটে ঘর পাইয়ে দিয়ে প্রায় তিন কোটি টাকা দুর্নীতি করা হয়েছে৷ পৌরসভার এন্টি চেম্বারে বসে ৭০০০০ টাকা ও গোপন নথি বিজেপি কাউন্সিলরের হাতে তুলে দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান৷
এছাড়াও এদিন বর্তমান চেয়ারম্যান গোপাল শেঠকে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে শংকর আঢ্য বলেম, "এমন দিন দেখাবেন না। যে আপনার মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে বনগাঁর চার-পাঁচ হাজার মানুষকে নিয়ে পৌরসভা ঘেরাও না করতে হয়৷
যদিও এই প্রসঙ্গে গোপাল শেঠ কোন রকম বক্তব্য না দিলেও বনগাঁ পৌরসভার দলনেতা প্রসেনজিৎ বিশ্বাস বলেন, উনি পৌরসভার মধ্যে নেই৷ উনি এত কিছু জানলেন কি করে৷ মিথ্যাচার করছেন পাগলের প্রলাপ বকছেন৷ ওনার যদি লোকজন থাকে তাহলে পৌরসভা ঘেরাও করে দেখাক৷
অন্যদিকে, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এর দাবি করে বনগাঁ পৌরসভার বিজেপি কাউন্সিলর দেবদাস মন্ডল বলেন, প্রাক্তন চেয়ারম্যান বনগাঁ পৌরসভায় একাধিক দুর্নীতি করেছিল৷ সেগুলো তুলে ধরায় উনি আমার বিরুদ্ধে বলছেন৷ বোর্ড মিটিং এ উপস্থিত থেকে যে যে তথ্য পেয়েছিলাম সেগুলোই আমি জানি৷ এটা তৃণমূলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বর্তমান চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্ব৷ এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব৷