করোনার ত্রাস; অনাহারে কাটছে দিন, ঘরে ফিরতে চেয়ে সরকারের কাছে আর্জি সার্কাস শিল্পীদের

করোনার ত্রাস; অনাহারে কাটছে দিন, ঘরে ফিরতে চেয়ে  সরকারের  কাছে আর্জি  সার্কাস  শিল্পীদের,

সার্বভৌম সমাচার, বসিরহাট ঃ উত্তর ২৪ পরগণা জেলার হাড়োয়া থানার অন্তর্গত সোনাপুকুর শংকরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাড়োয়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় সার্কাস ময়দান। গত ১২ ই ফাল্গুন  ওই এলাকায় পীর গোরাচাঁদ মেলা শুরু হয়েছিল। এই মেলা উপলক্ষে বিনোদনের জন্য এসেছিল এম্পয়ার সার্কাস। মেলা চলার কথা ছিল প্রায় এক মাস। কিন্তু হটাৎই করোনার প্রাদুর্ভাবে শুরু হয় লকডাউন। আর আটকে পড়ে প্রায় ৪৫ জন  সার্কাসের শিল্পী ও শ্রমিকরা। তাদের মধ্যে বেশ কিছু মহিলারাও আছেন। এখন তারা খোলা মাঠে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।


সার্কাস মালিক তাদের কিছু খাবারের জন্য পয়সা দিয়ে চলে গেলেও আটকে যায় সার্কাসের শিল্পী ও শ্রমিকরা। তাদের কারও বাড়ি বনগাঁ, কাটোয়া, আবার কারও বাড়ি উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড-এ। তারা কেউই এখন লকডাউনের জেরে বাড়ি ফিরতে পারছে না; এদিকে টাকা-পয়সা, খাওয়া ফুরিয়ে এসেছে।
স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে কিছু খাবারের ব্যবস্থা করলেও তা পর্যাপ্ত নয়। ফলে কখন মুড়ি খেয়ে, আবার কখনও নাহারে কাটাচ্ছে দিন। পাশাপাশি তাদের সংঘে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির পাখিরা; তাদেরও খাবার জুটছেনা ।
শিল্পীদের দাবি, অবিলম্বে তাদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করুন প্রশাসন এবং আপাতত কিছু অন্তত খাবারের ব্যবস্থা সরকার। পঞ্চায়েত প্রধান ফরিদ জমাদার জানিয়েছেন, আমরা কিছু খাদ্যের ব্যবস্থা করেছিলাম। জানালে আরও ব্যবস্থা নেব। আমরা সবাই ওনাদের পাশেই থাকবো।




এমনিতেই কিছু সমস্যার জন্য মেলার মাঠে দেরিতে আসে এই এম্পয়ার সার্কাসের টিম।তারপর কোনরকমে শুরু এই সার্কাসের টিম তাদের বিনোদন  শুরু করার আগেই শুরু হল করোনা আতঙ্ক। ঠিকঠাক ভাবে ব্যবসাও করতে পারেননি সার্কাস কর্তৃপক্ষ। তারপর লকডাউনের জেরে আটকে পড়েছে গোটা সার্কাস। সার্কাসের জীবজন্তু থেকে শুরু করে পাখি সার্কাসের শিল্পীরা রীতিমতো অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। সার্কাস মালিকেরও মাথায় হাত। এখন তাদের প্রশাসনের কাছে  একটাই আর্জি; ঘরে ফেরার আর্জি!

Post a Comment

Previous Post Next Post