লণ্ডভণ্ড! মমতার আর্জি, বাংলায় নামল সেনা

লণ্ডভণ্ড! মমতার আর্জি, বাংলায় নামল সেনা

সার্বভৌম সমাচার, কলকাতা : ঘূর্ণিঝড় আমফানে বিধ্বস্ত বাংলার বেশ কয়েকটি জেলা। জল ও বিদ্যুতের দাবীতে ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন যায়গায় রাস্তায় নেমেছেন সাধারন মানুষ। আর সেই পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ও পরিষেবা স্বাভাবিক করতে কেন্দ্রের সহযোগিতা চেয়েছিল রাজ্য সরকার।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেই প্রার্থনায় সাড়া দিয়ে কলকাতা জেলা কর্তৃপক্ষকে ঘূর্ণিঝড় আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তা করার জন্য তিনটি বাহিনী পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। এছাড়াও আরও দু'টি দলকে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় পাঠানো হয়েছে।

কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলির বেশ কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুৎ ও জলের সমস্যা নিয়ে বিক্ষোভের পরে একপ্রকার বাধ্য হয়েই রাজ্য সরকার সাহায্যের আবেদন জানায়। রাজ্যে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাগরিকদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর তিনটি টুইটে রাজ্যের পানীয় জল, স্যানিটেশন এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি স্বাভাবিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য “২৪x৭ ভিত্তিতে কমান্ড মোডে সর্বাধিক শক্তি” চেয়ে আহ্বান জানায়।

স্বরাষ্ট্র দপ্তর সুত্রে খবর, “প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ও পরিষেবা তাত্ক্ষণিক পুনঃস্থাপনের জন্য ২৪x৭ ভিত্তিতে ইউনিফাইড কমান্ড মোডে সর্বাধিক শক্তির আহ্বান জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। চাওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীর সহায়তা। এছাড়াও ইতিমধ্যে এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ দল মোতায়েন করা হয়েছে।” এদিন স্বরাষ্ট্র দপ্তর আরও জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ যে কোনও সমস্যা মোকাবিলায় কড়া সতর্কতা অবলম্বন করছে।

বুধবারের উপকূলীয় বাংলায় ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি, হাজারে হাজারে গাছ এবং উপড়ে গিয়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি।বিভিন্ন জেলায় সেই ধ্বংসের ছবি স্পষ্ট। ঝড়ের দাপটে উড়ে গিয়েছে বহু বাড়ির ছাদ, পড়ে গিয়েছে দেয়াল। গাছ উপড়ে পড়ার ফলে বন্ধ রাস্তাগুলি। যার ফলে বিশাল ক্ষতির মুখে পড়েছে রাজ্য।

এই ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির মূল্য প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা বলে জানিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলগুলি বিমানে পরিদর্শন করেন এবং রাজ্যের পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে তিনি ১০০০ কোটি টাকার সহায়তার ঘোষণা করেন।

এদিকে লক্ষ লক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কথা মাথায় রেখে সেনাবাহিনীর সমর্থন নেওয়ার সিদ্ধান্তের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন খোদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।


তিনি টুইটে লেখেন “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেনাবাহিনীর সমর্থন ও সহায়তা চাইছেন, এটি একটি ভাল পদক্ষেপ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চেষ্টা চলছে এবং মানুষকে ধৈর্য ধরে শান্ত থাকার জন্য আবেদন করছি। কর্তৃপক্ষকে যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য পরিষেবা দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে হবে,” ।

Post a Comment

Previous Post Next Post