সার্বভৌম সমাচার : জুনের ৮ তারিখের পর থেকেই কলকাতা হাইকোর্টের স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হওয়ার প্রস্তুতি
শুরু হয়েছে। সম্প্রতি এই মর্মে জারি হয়েছে একটি বিজ্ঞপ্তি। আর একথায় জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায়। তিনি এদিন একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের দাপটে বিগত ২৫ মার্চ থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে আদালতের স্বাভাবিক কাজকর্ম।
তবে হাইকোর্ট সুত্রে খবর, আদালতের স্বাভাবিক কাজকর্ম ঠিক হলেও এখনই আগের মত থাকবে না। তবে থাকছে
একাধিক বিধি-নিষেধ। কঠোর সামাজিক দূরত্ব বিধি বজিয়ে রেখে তবেই খুলবে আদালত।
এছাড়াও প্রয়োজন ছাড়া কেউই কলকাতা হাইকোর্টের ভিতরে সাধারণের প্রবেশ করতে পারবেন না।
এমনকী, ইচ্ছে হলেই শুনানিতে মামলাকারীরাও উপস্থিত হতে পারবেন না। তবে যারা হাজিরা দেওয়ার জন্য আসবেন, শুধুমাত্র তাদেরই হাইকোর্টের অন্দরে প্রবেশের ছাড়পত্র মিলবে।কাজ মিটলেই তত্ক্ষণাত্ হাইকোর্ট চত্বর ছাড়তে হবে।
আরও পড়ুন--
তবে শুধু এটুকুতেই থেমে নেই হাইকোর্ট। জানা গিয়েছে,
করোনা আবহ পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত মামলাকারীদের সংঘে সংঘে ও আইনজীবীদের আদালতে প্রবেশের থাকছে মাত্র দুটি গেট। জানা গিয়েছে ই ও বি গেট নামে দুটি গেট খোলা রাখা হবে। আর সেক্ষেত্রেও আদালত কক্ষে শুধুমাত্র বিচারপতিরা ছাড়া মাত্র তিনজন আদালত কর্মী উপস্থিত থাকতে পারবেন । তবে সব মিলিয়ে আদালত কক্ষে ছ'জনের বেশি আইনজীবী উপস্থিত থাকতে পারবেন না। আর যদি ছ'জনের বেশি আইনজীবীর উপস্থিতি কোনও মামলায় প্রয়োজন পড়ে তবে সংশ্লিষ্ট মামলাটি বন্ধ রাখা হবে। তবে হাইকোর্টের এমন একাধিক বড় আদালত কক্ষ রয়েছে সেখানে বিচারপতিরা এবং আদালত কর্মী ছাড়া সর্বোচ্চ ৮ জন প্রবেশ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে
নজর রাখা হবে যাতে আদালত করিডোরে জমায়েত না হয়।
জানা গিয়েছে, রাজ্য পূর্ত দপ্তরের কর্মীরা আদালত চত্বরের করিডোরগুলিতে নির্দিষ্ট করে জায়গা চিহ্নিত করবেন। যাতে সকলে চিহ্নিত করা নির্দিষ্ট স্থানেই দাঁড়াতে পারেন। তবে সামাজিক দূরত্ব বজিয়ে রাখতে হাই কোর্টের লাইব্রেরী রুম গুলিতেও। জানা গিয়েছে, পাঁচ জনের বেশি হাইকোর্টের লিফটে উঠতে দেওয়া হবে না।
এদিনের বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষ করে আদালতের কর্মীদের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। আর সেক্ষেত্রে যতদিন না যানবাহন চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হচ্ছে, ততদিন কোর্ট অফিসার ও কর্মীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষই করবে। আর সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে
যাতে বিচার ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয় তার বিবেচনা করা হচ্ছে বলে সূত্রে খবর।