অম্লিতা দাস : যেখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা চাই অষ্টম শ্রেণী পাস আর মাসিক আয় মাত্র ১০ হাজার সেখানে আবেদন করল রাজ্যের বহু পিএইচডি, এমএসসি, এমএ পাশ যুবকরা করলো আবেদন।
বন সহায়ক পদে আবেদনকারীর সংখ্যা অধিক। রাজ্যে শূন্যপদ মাত্র দু'হাজার। আবেদনের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ২০লক্ষ। নিয়োগ হবে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে কোনো লিখিতভাবে না। আবেদন জমার শেষ দিন ছিল বুধবার। শুধুমাত্র পুরুলিয়া থেকেই আবেদনকারীর সংখ্যা এতই যে তাদের ইন্টারভিউ নিতেই সময় লাগবে কম করে হাজার দিন। যোগ্যতার বিচার করে কাকে রাখবেন আর কাকে নয় তা নিয়েই চিন্তিত বনকর্তারা।
বনদপ্তর সূত্রে খবর, আবেদনের পালা শেষ এখন স্ক্রুটিনির পালা। সেখানেও আবেদনকারীদের বাদ দেওসর সম্ভবনা নেই।শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী সকলেই বেশি শিক্ষিত। বয়সের কারণে তাও কয়েকজনকে বাদ দেওয়া যেতে পারে। আবেদনকারীদের মধ্যে প্রার্থী বাছাই করবে তিন সদস্যের ইন্টারভিউ বোর্ড। তার মধ্যে দু'জন ডিএফও এবং চিফ কনজারভেটর অব ফরেস্ট।
রাজ্যের ২৩টি জেলাকে ৯টি জনে ভাগ করে ইন্টারভিউ নেওয়া হয় তবে এই অধিকতর আবেদনকারী থাকার জন্য ইন্টারভিউ বোর্ডের সংখ্যা বাড়ানো কথাও বলা হয়েছে। কারণ ৬ ঘন্টায় মাত্র ১০০ জনের ইন্টারভিউ নেওয়া সম্ভব। রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, "আবেদনকারীর সংখ্যা স্ক্রুটিনির পর জানা যাবে। ইন্টারভিউ বোর্ডের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। দরকার হলে শনি, রবিবারও ইন্টারভিউ নেওয়া হবে"।
বন সহায়ক পদে নিয়োগ চলছে। প্রতি সময় বন দপ্তরের সামনে আবেদনকারীদের লাইন পড়ে তাদের জিজ্ঞাসা করতেই জানা যায় অনেকেই পদের যোগ্যতার তুলনায় বেশি শিক্ষিত।
আরও দেখুন--
