সায়ন ঘোষ : ডেয়ারি প্রযুক্তি পড়েও নেই চাকরি। বর্তমানে ভারতবর্ষ দুগ্ধ উৎপাদনে প্রথম স্থান অধিকার করে। সাথেই দৈনিক গড় 394 গ্রাম/ প্রতিদিন, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে মাত্র 158 গ্রাম/ প্রতিদিন (২০১৮-১৯ এর সমীক্ষা)।
পশ্চিমবঙ্গে সরকারি ডেয়ারি কারখানা গুলি যেমন হরিণঘাটা ডেয়ারি, মাদার ডেয়ারি কলকাতা, বর্ধমান ডেয়ারি, কৃষ্ণনগর ডেয়ারি, সেন্ট্রাল ডেয়ারি সহ বিভিন্ন সরকারি মিল্ক ইউনিয়ন গুলি বলতে গেলে অচল। তার একমাত্র কারণ হল পর্যাপ্ত পরিমানে নেই নিয়োগ। এর ফলে যেমন বিভিন্ন প্রাইভেট ডেয়ারি গুলির রমরমা বাড়ছে সাথেই একচেটিয়া বাজার দখল করেছে। যার ফলে দুগ্ধ চাষীরা সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সাধারণ মানুষের মুখে আজকে বিভিন্ন প্রাইভেট ডেয়ারি গুলি ভেজাল দুধ ও সিন্থেটিক মিল্ক তুলে দিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেয়ারি টেকনোলজি হল একমাত্র ডেয়ারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র যেখানে প্রতি বছর বি.টেক কোর্স এ ৪৪ জন ছাত্র-ছাত্রী এবং মাস্টার ডিগ্রি কোর্স ২৪ জন করে ছাত্র-ছাত্রী প্রতিবছর এডমিশন নেয়। পশ্চিমবঙ্গের সরকারি এগ্রিকালচারাল বিশ্ববিদ্যালয় পঠন পাঠন করা সত্ত্বেও বছরের পর বছর এখানে ছাত্রছাত্রীদের রাজ্যের বাইরে অন্যান্য রাজ্যে এবং দেশের বাইরে চাকরির জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে হয় এবং তারা সরকারের দ্বারা পড়াশোনা করার ফলেও সরকারকে কোন রকম ভাবে সহায়তা করতে পারে না।
উক্ত বিষয় নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেয়ারি টেকনোলজির একাধিকা ছাত্র-ছাত্রীরা প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীর কাছে এবং দপ্তরে আধিকারিকদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গে দুগ্ধশিল্পের উন্নতির তথা সাধারণ মানুষের মুখে দুধের মত একটি অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্য কিভাবে ভেজাল করা হচ্ছে বিষয়টি তুলে ধরেছেন। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের দাবি দীর্ঘদিন কেটে গেলেও দপ্তর থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট সহযোগিতা বা উত্তর পাওয়া যায়নি তারা।
আরও পড়ুন--
পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেয়ারি টেকনোলজির তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি দেবার্ঘ্য চক্রবর্তী বলেন, ''আমাদের দাবি হল, প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন বিভাগ (পশ্চিমবঙ্গ সরকার) অধিকতর ডেয়ারি উন্নয়ন অধিদপ্তর ডেয়ারি দুগ্ধ প্রযুক্তি বিদদের শূন্যপদ পোস্ট গুলিতে নিয়োগ করা। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের সব জেলাস্তরে ১০ জন দুগ্ধ প্রযুক্তিবিদদের নিয়োগ করা। উক্ত বিষয়টি যদি পরিপূর্ণ হয় তাহলে যেমন আমাদের মধ্যে কিছুটা বেকারত্ব কমবে, তেমনই দুগ্ধ চাষীরা বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা এবং প্রকল্প আওতাভুক্ত হবে ও সঠিক দুধের দাম পাবে। তথা সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের বসবাসকারী লোকজন ভেজাল এবং সিন্থেটিক দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য থেকে রেহাই পাবে।"
আরও দেখুন--
Save Dairy Technology to save the rural economy . Help dairy technologist ,help dairy farmers
ReplyDelete