সার্বভৌম সমাচার : নদীয়ার শান্তিপুরের বাবলা অঞ্চলের গোবিন্দপুর মাহিষ্য পাড়ায় সকাল দশটা নাগাদ এক চাষের জমি হয়ে উঠলো রক্তাক্ত। এলাকা সূত্রে জানা যায় ওই এলাকারই মৃতজ্যোৎস্না বিশ্বাস তার দুই পুত্র নারায়ণ বিশ্বাস এবং সুভাষ বিশ্বাস কে ১০ শতক করে মোট কুড়ি শতক জমি দান করেন মৃত্যুর আগে।
প্রসঙ্গত এর আগে স্বামীর মৃত্যুর পর ওই দুই পুত্র কুড়ি শতক করে জায়গা ভাগ পান, অর্থাৎ দুই ভাইয়ের মোট জায়গার পরিমান ত্রিরিশ-শতক করে একই দাগ নম্বরে। বড় পুত্র নারায়ন বিশ্বাস কিছুটা দূরে দিনগর গ্রামে থাকেন, এবং ভালোবেসে গোবিন্দপুর মাহিষ্য পাড়ায় অর্থাৎ জমির কাছাকাছি বিবাহ হওয়া একমাত্র বোন মঞ্জু সরকার কে দানপত্র করে দেন।
এতে ছোট পুত্রে সুভাষ বিশ্বাসের সাথে জমির দখল নিয়ে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত মঞ্জু সরকারের স্বামী অলোক সরকার এবং ছেলে তারক সরকারের। গত তিনদিন আগে সুভাষ বিশ্বাসের মেয়ে শ্যামলি বিশ্বাসকে ওই চাষের জমিতে মারধর করেন এবং সেই থেকে হাসপাতালে ভর্তি আজও।
অন্যদিকে আজ সকালে উক্ত জমির ধান কাটা কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে দা ,হাসুলি, লাঠি নিয়ে রণক্ষেত্র বাঘি দুই পরিবারের মধ্যে। সুভাষ বিশ্বাস ছেলে নাড়ুগোপাল, স্ত্রী শ্যামলী রক্তাক্ত অবস্থায় শান্তিপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়।
অন্যদিকে মঞ্জু সরকারের ছেলে তারক সরকার, এবং গত কালকে বেড়াতে আসা ছেলের শশুর মন্টু অধিকারী এবং কাকা শশুর বিশ্বনাথ অধিকারী হাসপাতালে ভর্তি জামাইকে বাঁচাতে গিয়ে। যার মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায় ওই জমিতে 144 ধারার এখনো নয় দিন বাকি! এরপর বৈধ কাগজপত্র দেখে আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।