সার্বভৌম সমাচার : অনেকদিন বাদে আবারও নদীয়ার জাতীয়তাবাদী যুবকদের পুনরুজ্জীবিত হতে দেখা গেলো আজ কৃষ্ণনগরে। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি তথা তৃণমূল ঝড়ে বুক চিতিয়ে লড়াই করে টিকে থাকা বিধায়ক অধীর চৌধুরী আজ মিছিল করলেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বহু পুরোনো নতুন প্রজন্মের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে।
বিশেষ সূত্রে জানা যায় সদ্য ঘোষিত নদীয়া জেলার বিভিন্ন ব্লক এবং শহরের তৃণমূল নেতৃত্বের কমিটিতে স্থান না পাওয়া অনেকেই যোগাযোগ করেছেন তবে প্রকাশ্যে কিছু কর্মী দেখতে পাওয়া গেলেও নেতৃত্বকে দেখা যায়নি। অন্যদিকে জেলার বেশ কিছু জায়গায় শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার, ব্যানারের লাগানোর পর নদীয়ার রাজনীতিতে আরো ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়।
এক দুবার নদীয়াতে আসলেও নদীয়ার রাজনীতিতে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে খুব একটা মাথা গলাতে দেখা যায়নি বিগত কয়েক বছরের মধ্যে। কিন্তু হঠাৎ আজকের এই মহা মিছিল রাজনৈতিক সমীকরণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করছে না তো! রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা অবশ্য এমনটাই মনে করছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে সামান্য কিছু বললেও!
আজকের মিছিল থেকে আওয়াজ উঠল মূলত তৃণমূলের বিরুদ্ধেই। কাটমানি, গোষ্ঠীকোন্দল , গৃহ আবাসন এবং আম্ফান ঝড়ের ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি প্রকল্প টাকা তছরুপের মতো একাধিক বিষয়ে আকাশ-বাতাস মুখরিত হওয়াতে প্রদেশ কংগ্রেস বুঝিয়ে দিলো কেন্দ্রে বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সাথে জারি থাকবে এরাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইও।
তিনি বলেন হাতরাসের থেকে কোনো অংশে কম নয় বাংলা! বিধানচন্দ্র রায়, আজিজুল হক , ডি এল রায়ের বাংলা নয়! কেলেঙ্কারি নগরীতে পরিণত হয়েছে এই সোনার বাংলা। যেখানে পুলিশকে দল দাসে পরিণত করা হয়েছে, আইনকে বন্দী করা হয়েছে নবান্ন তে, সাধারণ মানুষের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। এই অচলাবস্থার অন্তিম পর্যায় পৌঁছেছি, সামনেই আসছে সুদিন।