যৌনকর্মীদের টিকাকরণ হলেও, লকডাউনে অর্থনৈতিক সংকটে তাঁরা



সার্বভৌম সমাচারঃ করোনায়  টিকা ত্রাণ পেলেও জীবন-জীবিকায় গভীর সংকটে যৌন কর্মীরা। ঘরে বসেই দিন কাটছে তাদের। সরকারি সাহায্যও পাচ্ছেন না তাঁরা। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ২নং ব্লকের মাটিয়া যৌনপল্লীতে প্রায় ১৫০০ জন যৌনকর্মী রয়েছেন।  মাটিয়াকে রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম যৌনপল্লী হিসেবে গন্য করা হয়। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় আবহে লকডাউনে গভীর সঙ্কটে যৌনকর্মীরা। যান চলাচল বন্ধ থাকায় তারা কাজ প্রায় হারাতে বসেছে। যার জেরেই অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে মাটিয়া থানা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফ থেকে যৌনকর্মীদের ত্রাণ দিলেও তাতে সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে।

যৌনকর্মীদের টিকাকরণ হলেও, লকডাউনে অর্থনৈতিক সংকটে তাঁরা
এদিন বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক  শ্যামল কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে যৌনকর্মীদের কোভিশিল্ড  টিকাকরণ করা হয়। একদিকে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা অন্যদিকে ভ্যাক্সিন দিয়ে তাদের সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে রেখে দিতে বদ্ধপরিকর প্রশাসন। কিন্তু এটা যথেষ্ট নয় বলে জানাচ্ছেন যৌনকর্মীরা। ইতিমধ্যে লকডাউনের জেরে কর্মজীবন ছেড়ে অনেককেই অন্য পেশায় চলে যেতে হয়েছে। পাশাপাশি পেশাগত ভাবে তারা অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। যার ফলে একদিকে তাদের জীবন-জীবিকা অন্যদিকে মূল পেশায় থাকতে বাঁচার লড়াই। সবমিলিয়ে ঘোর সংকটে যৌনকর্মীরা।

Post a Comment

Previous Post Next Post