
চন্দন হালদার, বাগদা ঃ প্রয়োজনের তাগিদে রাস্তায় নামাটা অনিবার্য হয়ে পড়ছে কখনো কখনো। সেটা আলাদা কথা। তাই বলে, কোন না কোন আলপটকা অযুহাতকে অবলম্বন করে একশ্রেণির মানুষ এখনো রাস্তায়। পুলিশের নজর এড়িয়ে। জনহীন চেনা বাজার ঘাটকে অচেনার আবেশে দেখবার, যেনো এক অদম্য কৌতূহল। দূর্ণীবার আকুতি। তা নয়তো কী ? এক বাইকে ঠাসাঠাসি করে। তিন তিন জন শাওয়ারী। জিগ্ জ্যাগ্ মোশান। কখনো দুরন্ত গতি। মুখে সিটি! মনে ফূর্তি! কী বলবেন একে ? সুহানা সফর, না প্রয়োজন ? বন্ধ চায়ের দোকানের সামনেও একবার ঢু মারা চাই। পেটের জমে থাকা কথা সব বেরুতে না পেরে বদহজম হবার জোগাড়। এসব হলো বাঙালির বাতিক।
কোন ভয় নেই! ডর নেই! দ্বায় নেই! দ্বায়িত্ব নেই ! সতর্কতার কোনো বালাই নেই!ভাবটা যেনো এই কিসের দ্বায় ? কী হবে ? সব হুযুগ ? এক দল তো এই বলেই বীরত্ব আওড়াচ্ছেন অনুক্ষণ।
এদের ধরন বুঝতে, একটু ‘মহাভারত' ঘুরে আসা যাক। মহাভারতে, বক রূপী যক্ষ্ম, সত্যবাদী যুধিষ্ঠিরের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, পৃথিবীতে আশ্চর্য্য কী....?
উত্তরে যুধিষ্ঠির বলেছিলেন, “ প্রতিদিন জীবজন্তু যায় যম ঘরে, তা দেখেও যারা থাকে, তারা চিন্তা করে, আমরা তো চির জীবি নাহি হবো ক্ষয়, ইহা হইতে কী আশ্চার্য্য কহেন মহাশয়......?
করোনার কালো ছায়ায় বিশ্বজনীন মৃত্যু মিছিল দেখেও যাঁরা বলেন ওটা আমাদের জন্য নয়,
এর থেকে ভয়ংকর বিস্ময়ের, আশ্চর্যের কিছু হতে পারে কীনা জানা নেই.......!!!!!
কথায় আছে না, “ হাতি ঘোড়া গেলো তল, মশা বলে কতো জল ”। এদের কে দেখে শুনে তাই মনে হচ্ছে। তা নয় তো কী!
আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি, ইরান, ইরাক, ফ্রান্স.... এই কটায় থাক। এর প্রেত্যেকটি দেশ আমাদের দেশের থেকে সর্ব বিষয়ে এগিয়ে। স্বাস্থ্য পরিসেবায়, পুষ্টি বিচারে, সুস্থ সুন্দর কিলোমিটার প্রতি জন বিন্যাসে, সচেতনতায় এবং আর্থসামাজিক বিন্যাসে। সামগ্রিক নাগরিক জীবন আমাদের তুলনায় তাঁদের অনেক গুন সমুন্নত। তাদের পাবলিক ট্রান্সফোর্ট আমাদের দেশের বাস-ট্রাম-ট্রেনের মতো নয়। গরু ছাগলের মতো নয়। এদেশে বাস মানে তো মাঝারি একটা টিনের বাক্সে দুশো লোকের গুঁতোগুঁতি।
তাঁদের দেশের বৃহত্তর অংশের একটা মানুষ প্রাইভেট Car এ যাতায়াত করেন। তার পরেও করোনা নামক ভয়ংকর অদৃশ্য দানবের কাছে তাদের পরাভূত হতে হয়েছে। বিস্ময় কর! মৃত্যুর মিছিল চলছে সেথায়। স্বজন হারানোর কান্নায় সে সব দেশের বাতাস আমাদের থেকেও অনেক বেশি আদ্র। ভিজে। স্যাঁতস্যঁতে। তাঁরা খসার মতো খসে যারার ভয়ে সকলে সিঁটিয়ে আছে। সব্বাই সব্বার অঘোষিত শত্রু। প্রতিদিন পৃথিবী জুড়ে মৃত আর আক্রান্তের সংখ্যাটা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ‘মৃত্যু' আর ‘আক্রান্ত’— পরস্পরের মধ্যে এক নারকীয় প্রতিযোগিতা চলছে। ধনী- দরিদ্র - জাত-ধর্ম নির্বিশেষে। বিশ্ব ব্যাপি এক ভয়ংকর যুদ্ধ। এক অদ্ভুত আঁধার এখন পৃথিবী জুড়ে।
আমরাও,মানে ভারতীয় রাও সেই যুদ্ধে শামিল। সে আঁধারে সমাচ্ছন্ন । মহা ভারতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের থেকেও হয়তো আরো ভয়ংকর এ যুদ্ধ। কেননা, সে যুদ্ধ আঠারো দিনে শেষ হয়েছিল। কিন্তু, এ যুদ্ধ কবে শেষ হবে কেউ জানে না। সে যুদ্ধে পরস্পর শত্রুদ্বয় দলবেঁধে মুখোমুখি। সম্মূখ সমরে। আর এখানে, শত্রু দিবালোকেও অদৃশ্য। পরস্পর পরস্পরের শত্রুতা বিহীন গুপ্ত ঘাতক। আর সারা পৃথিবীটায় আজ কুরুক্ষেত্র।
তবু এ লড়াই আমাদের বাঁচার লড়াই। এ লড়াই জিততে হবে। আমরা করবো জয় নয়। আমদের জয় হবেই। এই হোক আমাদের ব্রত।
তবে জয় তো আর শুধু শুধু আসে না। আসে সুপরিকল্পার সাথে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে হাত ধরে। আমরা এখন সেই ক্রান্তি কালে দাঁড়িয়ে।
আমাদের রাষ্ট্র নায়করা পথ বাতলে দিয়েছেন। প্রশাসন সদাজাগ্রত। একটায় কাজ ঘরে থাকা। আমরা তাতেই হাঁপিয়ে উঠছি। কতো প্রশ্ন? কতো যুক্তি? কতো তক্কো? কতো বাহানা? সব যে অসঙ্গত তা নয়। তবে সব সুবিধা কোনো কালেই সবার জন্যে ছিলোও না। আজও নেই। আগামীতেও আশা করা দূরাশা।
ভেবে দেখুন করোনা নামক দানব কেবল সাধারণ সংখ্যা গোরিষ্ঠকেই কেবল আক্রমণ শানায় না। শানায় সর্ব স্তরের মানুষের উপর। তাই ব্রিটেনের রাজপরিবার ও প্রধানমন্ত্রী, পার্শবর্তী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, জার্মান চান্সেলর, সহ খ্যাত নামা বহু বিশ্বখ্যাত সর্বোচ্চ সুবিধা ভোগী মানুষ আজ করোণার কবলে। স্পেনের রাজ কুমারী, জার্মানির একজন দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী সহ পৃথিবী জুড়ে বহু বিখ্যাত মানুষ আজ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন।
সুচিকিৎসা আর ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থা দিয়ে যদি করোনাকে রোখা যেতো, তাহলে তাঁদের কারোরই এই অকাল মৃত্যু ছুঁতে পারতো না।
সুতরাং অনেক অবজ্ঞা হয়েছে। দৃষ্টান্ত গনমাধ্যমে বিস্তর। ঠেঁকে নয়, দেখে শিখুন। বিচ্ছিন্ন থাকুন। বন্দী থাকুন নিজ নিজ ঘরে। বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের স্যংখা দশ লাখ ছাড়িয়েছে। ইতালীর দিকে তাকিয়ে দেখুন। তাদের মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যে এগারো হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
কারন টা কী? না, করোনাকে তাঁরা প্রথমে পাত্তা দেয়নি। করোনার অশনি সংকেত কে উপেক্ষা করে চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল ম্যাচে সামিল হয়েছিলেন ইতালি। চল্লিশ হাজার মানুষ একমাঠে। এক ছোট্ট পরিসরে। রুদ্ধ শ্বাস খেলোয়ারোচিত হার জিতের উন্মাদনায় মনুষ পরস্পরের সাথে আবিষ্ট হয়েছেন, জড়িয়ে ধরেছেন। আর করোনার বংশ বৃদ্ধ ঘটিয়েছেন। মৃত্যু বীজ ছড়িয়ে গেছে এক লহমায়। দুএক দিনের মধ্যেই স্টেডিয়ামে উপস্থিতদের মধ্যেই মৃত্যুর পারদ চড়তে থাকে। এবং তার পরের ঘটনা এখনকার জন্য দৃষ্টান্ত। আর আগামীর জন্য ইতিহাস।
তবে জয় তো আর শুধু শুধু আসে না। আসে সুপরিকল্পার সাথে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে হাত ধরে। আমরা এখন সেই ক্রান্তি কালে দাঁড়িয়ে।
আমাদের রাষ্ট্র নায়করা পথ বাতলে দিয়েছেন। প্রশাসন সদাজাগ্রত। একটায় কাজ ঘরে থাকা। আমরা তাতেই হাঁপিয়ে উঠছি। কতো প্রশ্ন? কতো যুক্তি? কতো তক্কো? কতো বাহানা? সব যে অসঙ্গত তা নয়। তবে সব সুবিধা কোনো কালেই সবার জন্যে ছিলোও না। আজও নেই। আগামীতেও আশা করা দূরাশা।
ভেবে দেখুন করোনা নামক দানব কেবল সাধারণ সংখ্যা গোরিষ্ঠকেই কেবল আক্রমণ শানায় না। শানায় সর্ব স্তরের মানুষের উপর। তাই ব্রিটেনের রাজপরিবার ও প্রধানমন্ত্রী, পার্শবর্তী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, জার্মান চান্সেলর, সহ খ্যাত নামা বহু বিশ্বখ্যাত সর্বোচ্চ সুবিধা ভোগী মানুষ আজ করোণার কবলে। স্পেনের রাজ কুমারী, জার্মানির একজন দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী সহ পৃথিবী জুড়ে বহু বিখ্যাত মানুষ আজ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন।
সুচিকিৎসা আর ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থা দিয়ে যদি করোনাকে রোখা যেতো, তাহলে তাঁদের কারোরই এই অকাল মৃত্যু ছুঁতে পারতো না।
সুতরাং অনেক অবজ্ঞা হয়েছে। দৃষ্টান্ত গনমাধ্যমে বিস্তর। ঠেঁকে নয়, দেখে শিখুন। বিচ্ছিন্ন থাকুন। বন্দী থাকুন নিজ নিজ ঘরে। বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের স্যংখা দশ লাখ ছাড়িয়েছে। ইতালীর দিকে তাকিয়ে দেখুন। তাদের মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যে এগারো হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
কারন টা কী? না, করোনাকে তাঁরা প্রথমে পাত্তা দেয়নি। করোনার অশনি সংকেত কে উপেক্ষা করে চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল ম্যাচে সামিল হয়েছিলেন ইতালি। চল্লিশ হাজার মানুষ একমাঠে। এক ছোট্ট পরিসরে। রুদ্ধ শ্বাস খেলোয়ারোচিত হার জিতের উন্মাদনায় মনুষ পরস্পরের সাথে আবিষ্ট হয়েছেন, জড়িয়ে ধরেছেন। আর করোনার বংশ বৃদ্ধ ঘটিয়েছেন। মৃত্যু বীজ ছড়িয়ে গেছে এক লহমায়। দুএক দিনের মধ্যেই স্টেডিয়ামে উপস্থিতদের মধ্যেই মৃত্যুর পারদ চড়তে থাকে। এবং তার পরের ঘটনা এখনকার জন্য দৃষ্টান্ত। আর আগামীর জন্য ইতিহাস।
অতএব, আলু ভাতে আর ডালসেদ্ধোতে অরুচি ধরে যবার নেকু ধুয়ো তুলে কাঁদুনি গাইবার সময় এখন নয়। সময় বরং কৃচ্ছ সাধনের। সবকিছুকে পজিটিভলি নিয়ে দেখুন, দূঃখ অনেক লাঘব হয়ে যাবে।
পরিবারের সকলের সাথে একান্তে সময় কাঁটাবার এমন সময় কিন্তু আপনি আগে কখনো পাননি। ভেবে দেখুন না! লকে লকে জিভের তাড়নায় আপনার মধ্যপ্রদেশের কী হাল! মানে, ভুড়ির কথা বলছি। একে বারে, ব্যারেল ! আজীবনের প্রেগন্যান্ট। এই সুযোগো ওটাকে একবার কমিয়ে নিন। আসুন রসিকতা রেখে কাজের কথায় আসি।
কেননা এর থেকেও খারাপ খেয়েও সময় কাঁটাবার রীতিতো আমাদের ধর্মীয় রীতিতে আছে।
কেনো...? যখন একমাস ধরে মালসায় রেঁধে একবার খেতে হয়।
চৈত্র মাস জুড়ে নিরামিষি পালন করতে হয়। যখন সারাদিন অভুক্ত থেকে রোজা রাখতে হয়। কই তখন তো ঘোঁতঘোঁত করিনা । তাহলে এখন কেনো...?
সহজ কথা, পাঁকামি না মেরে পথে এসো। সরকার চেষ্টা করছেন। আমরাও করি। প্রধান মন্ত্রী হাতজোড় করে বারবার আবেদন জানাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী জীবনের মায়া উপেক্ষা করে পথে নেমেছেন। মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে সীমানা সামলাচ্ছেন। অদন্দ্র প্রহরীর মতো। আর স্বাস্থ্য পরিসেবার যুক্ত ডাক্তার, নার্স,প্যাথোলজিষ্ট, ড্রাগিষ্ট, আর সাফাই কর্মীরা....তাঁদের কথাটা একবার ভাবুন। তাঁরা কেউ হয়তো আমাদের ব্যাক্তি জীবনের আত্মীয় নন, স্বজন নন,তবু আমাদের জীবন বাঁচাবার অসম সঙ্কল্পে নিজের জীবন বাজী রেখেছেন। আমরা কী তাদের স্যালুট জানাবো না ! আসুন গোয়ার্তুমি ছেড়ে, এই জাতীয় যুদ্ধে সামিল হই। সরকারকে সাহায্য করি।আর তো মাত্র কটা দিন। সুবিধা অসুবিধায় কেঁটে যাবে একভাবেই।
মনে রাখবেন প্রয়োজনের থেকেও বড়ো জীবন। আর সেই প্রয়োজন যদি কেবল জীবনের জন্য হয় তবেই পথে নামুন। নচেৎ নয়। না হলে সব আয়োজন বৃথা যাবে। পণ্ডশ্রম হবে।
এক ঘণ্টার অচলায়তনে যেখানে একটি দেশের কোটি কোটি টাকা লোকসান হয়, তাহলে একুশ দিনের অচলাবস্থায় কতো টাকা রাষ্ট্রের ক্ষতি হচ্ছে !
অর্থ নৈতিক ব্যাবস্থা ভেঙে পড়া মানে একটি জাতীর অপমৃত্যু। রাষ্ট্র বাঁচানোর প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে ঘরে থাকি। এটি একটি রাষ্ট্রীয় মিশন। আর এ মিশন ব্যর্থ হবার অর্থ আত্মহত্যার সামিল। অতএব, গ্যারাণ্টি করোনার, সিদ্ধান্ত আাপনার।
পরিবারের সকলের সাথে একান্তে সময় কাঁটাবার এমন সময় কিন্তু আপনি আগে কখনো পাননি। ভেবে দেখুন না! লকে লকে জিভের তাড়নায় আপনার মধ্যপ্রদেশের কী হাল! মানে, ভুড়ির কথা বলছি। একে বারে, ব্যারেল ! আজীবনের প্রেগন্যান্ট। এই সুযোগো ওটাকে একবার কমিয়ে নিন। আসুন রসিকতা রেখে কাজের কথায় আসি।
কেননা এর থেকেও খারাপ খেয়েও সময় কাঁটাবার রীতিতো আমাদের ধর্মীয় রীতিতে আছে।
কেনো...? যখন একমাস ধরে মালসায় রেঁধে একবার খেতে হয়।
চৈত্র মাস জুড়ে নিরামিষি পালন করতে হয়। যখন সারাদিন অভুক্ত থেকে রোজা রাখতে হয়। কই তখন তো ঘোঁতঘোঁত করিনা । তাহলে এখন কেনো...?
সহজ কথা, পাঁকামি না মেরে পথে এসো। সরকার চেষ্টা করছেন। আমরাও করি। প্রধান মন্ত্রী হাতজোড় করে বারবার আবেদন জানাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী জীবনের মায়া উপেক্ষা করে পথে নেমেছেন। মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে সীমানা সামলাচ্ছেন। অদন্দ্র প্রহরীর মতো। আর স্বাস্থ্য পরিসেবার যুক্ত ডাক্তার, নার্স,প্যাথোলজিষ্ট, ড্রাগিষ্ট, আর সাফাই কর্মীরা....তাঁদের কথাটা একবার ভাবুন। তাঁরা কেউ হয়তো আমাদের ব্যাক্তি জীবনের আত্মীয় নন, স্বজন নন,তবু আমাদের জীবন বাঁচাবার অসম সঙ্কল্পে নিজের জীবন বাজী রেখেছেন। আমরা কী তাদের স্যালুট জানাবো না ! আসুন গোয়ার্তুমি ছেড়ে, এই জাতীয় যুদ্ধে সামিল হই। সরকারকে সাহায্য করি।আর তো মাত্র কটা দিন। সুবিধা অসুবিধায় কেঁটে যাবে একভাবেই।
মনে রাখবেন প্রয়োজনের থেকেও বড়ো জীবন। আর সেই প্রয়োজন যদি কেবল জীবনের জন্য হয় তবেই পথে নামুন। নচেৎ নয়। না হলে সব আয়োজন বৃথা যাবে। পণ্ডশ্রম হবে।
এক ঘণ্টার অচলায়তনে যেখানে একটি দেশের কোটি কোটি টাকা লোকসান হয়, তাহলে একুশ দিনের অচলাবস্থায় কতো টাকা রাষ্ট্রের ক্ষতি হচ্ছে !
অর্থ নৈতিক ব্যাবস্থা ভেঙে পড়া মানে একটি জাতীর অপমৃত্যু। রাষ্ট্র বাঁচানোর প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে ঘরে থাকি। এটি একটি রাষ্ট্রীয় মিশন। আর এ মিশন ব্যর্থ হবার অর্থ আত্মহত্যার সামিল। অতএব, গ্যারাণ্টি করোনার, সিদ্ধান্ত আাপনার।