“ত্রাণ না, বাঁধ চাই”- দাবী স্থানীয়দের

“ত্রাণ না, বাঁধ চাই”- দাবী স্থানীয়দের  "কিছু কিছু মানুষ সাহায্য পাইসে, অল্প অল্প করি খাদ্য দিসে, কেউ পাইসে, কেউ পায়নি।"

সার্বভৌম সমাচার, ঢাকা ঃ দুই শতাধিক বছরেরও পর এতবড় শক্তিশালী সাইক্লোন এল দুই বাংলা জুড়ে। ভয়ানক আম্পান। যা বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলে আঘাত এনেছে। কিন্তু তারপর দুদিন পার হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের অনেক গ্রাম জলে ডুবে আছে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বাড়িঘরের, কৃষিজমি ও চিংড়ি ঘেরের । দুর্গত মানুষদের কাছে ত্রাণ পৌছালেও তা যথেষ্ট নয়। আবার এখনও পর্যন্ত ভেঙে পড়া বাঁধগুলোর মেরামত পর্যন্ত না হওয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা জলে ডুবে আছে। যার ফলে চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ওই সমস্ত এলাকার সাধারন মানুষ।

আরও পড়ুন—

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক মানিক হোসেনের কথায়, “ঝড়ের দিন অনেকে এমনকী অনেক কর্মকর্তাও তাদের খোঁজখবর নিয়েছেন, কিন্তু ঝড় থেমে যাবার পর কেউ তাদের খোঁজও নেয়নি। আমাদের গাবুরার লেবুগুনি নামে একটা গ্রাম আছে, ওখানে জোয়ারের পানিতে অনেকখানি রাস্তা ভেঙে পুরা তিনটা গ্রাম তলায় গ্যাসে। এখনও সেখানে বাঁধ দেয়া সম্ভব হয়নি, এখনও সেইভাবে রয়েসে। কারোর একেবারে সব ঘরটর ডুবে গ্যাসে, মানুষ চালের ওপরে রইসে, এরকম অবস্থা”।


হোসেন বাবুর কথায়, যদিও দুই তিন হাজার পরিবার এখনও জল বন্দী আছে।  তাদের কাছে এখনও সেইভাবে সাহায্য পৌঁছয়নি। জোয়ারের জল বেশি বলে এখনও বাঁধ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

আরও পড়ুন—

তবে ওই এলাকার মানুষের দাবি, “এখন আমরা ত্রাণ চাই না, আমরা একটা নিরাপদ আর শক্ত বেড়ি বাঁধ চাই। যাতে মানুষকে বারবার দুর্ভোগ পোহাতে না হয়। আইলায় একবার গ্রামগুলো ডুবে গ্যাসে, সিডরে ডুবে গ্যাসে, আম্পানে আবার ডুবে গেল, এজন্য মানুষ চায় শক্ত একটা বেড়ি বাঁধ”।


ঘরবাড়ি হারিয়ে মানুষ যেমন বিপর্যস্ত, তেমনি তাদের জীবন জীবিকাও এখনও বড়ধরনের হুমকির মুখে। তারা জানেন না কীভাবে তারা আবার ঘুরে দাঁড়াবেন।  আরও জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের ভেতরে সবচেয়ে বেশি বাগদা চিংড়ির চাষ হয়- এই গাবুরায়। এখানে প্রচুর চিংড়ি উৎপাদন হয়। কিন্তু সেই সব নদীতে ভেসে গেছে। যাতে মানুষের প্রচণ্ড ক্ষতি হয়েছে। সে ক্ষতির কোন সীমা নেই। "

আরও পড়ুন—

অভিযোগ, বেসরকারি সংস্থা থেকে কিছু সাহায্য পাওয়া গেলেও, সরকার থেকে ৫ কেজি করে চাল ও দুই কেজি ডাল, আর কিছু পরিমাণ তেল তারা ত্রাণ হিসাবে পেয়েছেন।  তবে উপকূল রক্ষী বাহিনী, নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনীর লোকের ১০০০ জনকে সরকারি ত্রাণ বিতরণ করেছে বলেও জানা গিয়েছে।


মানিক হোসেন : একটি বেসরকারি সংস্থায় স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করেন এবং ওই এলাকার বাসিন্দা।
সমস্ত তথ্য সুত্র : BBC
আরও দেখুন—







Post a Comment

Previous Post Next Post