
সার্বভৌম সমাচার, বসিরহাট : উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন এলাকার চারটি ব্লকের একাধিক এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখলেন সংসদ নুসরাত জাহান, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পূর্ত দপ্তরের কর্মদক্ষ নারায়ন গোস্বামী, হিঙ্গলগঞ্জ বিধায়ক দেবেশ মন্ডল, শিক্ষা কর্মদক্ষ ফিরোজ কামাল গাজী। বিদ্যুৎ, খাদ্য ও পানীয় জল পেতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় যাতে কাজ হয় তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেন সংসদ নুসরাত জাহান।
এদিন বৃহস্পতিবার লঞ্চে করে বিভিন্ন নদী বাঁধ পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জান রায়মঙ্গল, কালিন্দী, সাহেব খালি, ইছামতি নদীর বাঁধ পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন। হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকে ষোলটা ত্রাণ শিবিরে প্রায় ৬ হাজার মানুষ আছে। তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। রাখা হয়েছে একদিকে পানীয় জল গাড়ি।
আরও পড়ুন--
এছাড়াও সুন্দরবনের মিনাখা, সন্দেশখালি, ধামাখালি এলাকায় স্থানীয় বিধায়ক সুকুমার মাহাতো কে সঙ্গে নিয়ে যন্ত্র চালিত নৌকায় করে বিধ্বস্ত সুন্দরবনের ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধ পরিদর্শন ও দুর্গতদের সঙ্গে কথা বললেন সাংসদ নুসরাত জাহান। পাশাপাশি বাচ্চাদের জন্য বেবি ফুড, শুকনো খাবার, পানীয় জল, ঔষধ, চাল, ডাল পর্যাপ্ত পরিমাণে বিতরণ করলেন
আগামী ৩ রা জুনের যে ভরা কটাল আসছে তার আগেই নদীর বাঁধ গুলো যাতে দ্রুত সারাই করা যায় তার জন্য প্রশাসন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করে দিয়েছেন । সন্দেশখালি, রায়মঙ্গল, ও ছোট কলাগাছি নদীপথে সিতুলিয়া, বয়ারমারী, সুন্দরবন বাঁধের অবস্থা ভয়াবহ, এই মুহূর্তে বাঁধের কাজ সম্পূর্ণ না করা হলে, সামনের যে ভরা কোটাল আসছে,সেই কটালে নতুন করে আবার গ্রাম দখল নিয়ে নেবে এই নদী। দেখলে বোঝাই যাবে না কোনটা নদী, আর কোনটা গ্রাম। তার পাশাপাশি সুন্দরবনের দুর্গতদের ত্রান বিলি করলেন ও বাঁধের কাজ কিভাবে করা হচ্ছে,এবং কিভাবে হবে,সে বিষয়ে সেচ দপ্তরের সঙ্গে মিনাখা বিডিও অফিসে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। পাশাপাশি পানীয় জল, বিদ্যুৎ,ও ত্রানের যাতে কোনো সমস্যা না হয়। তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন, সংসদ নুসরাত জাহান।
আরও দেখুন--
#সাংসদ নুসরাত জাহান #নুসরাত জাহান #MP Nusrat Jahan #Nusrat
