তৈরি হয়েছে করোনার ঔষধ; দাবী বাংলাদেশের চিকিৎসক দলের


তৈরি হয়েছে করোনার ঔষধ; দাবী বাংলাদেশের চিকিৎসক দলের

সার্বভৌম সমাচার ওয়েব ডেস্ক ঃ মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করতে গিয়ে একের পর এক নতুন নতুন দিক উঠে আসছে। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশই নিজের মতো করে করোনা মোকাবিলায় কাজ করে চলেছে। এবারে প্রতিষেধক তৈরির তালিকাতেই নতুন এক সংযোজন করতে চলেছে বাংলাদেশ। সে দেশের চিকিৎসকেরা দাবি করেছেন, দুই বহুল ব্যবহৃত ওষুধের সংমিশ্রণেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত হতে পারে। এমনই ঘোষণা করলেন বংলাদেশের চিকিৎসক দল। বাংলাদেশের ওই মেডিক্যাল টিমের বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডক্টর মহম্মদ তারেক আলম বলেন, "দুটি বহুল ব্যবহৃত ওষুধের সংমিশ্রণে তৈরি ওষুধ করোনা আক্রান্তদের শরীরে প্রয়োগ করেছি। এর ফলে তাঁরা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এককথায় এই গবেষণায় অভাবনীয় ফল পেয়েছি।" ওই চিকিৎসক বলেছেন, একটি Antiprotozoal ওষুধ, ‌যেটির নাম Ivermectin, তার সঙ্গে একটি অ্যান্টিবায়োটিক, নাম Doxycycline, এগুলি প্রয়োগ করে তাঁরা নাকি অসম্ভব এক ফলাফল পেয়েছেন।

আরও পড়ুন--


বাংলাদেশের ওই মেডিক্যাল টিমের দাবী, তাদের তৈরি ওই ওষুধে চারদিনে করোনা রোগী সেরে উঠছেন এবং আক্রান্তের শরীরে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আভাসও নেই। নতুন ওই ওষুধ খেয়ে রোগী সুস্থ হয়ে গেলে তাঁর লালারসের পরীক্ষাও হচ্ছে। সেই রিপোর্টেও নেগেটিভ আসাতেই নতুন ওষুধের কার্যক্ষমতা প্রকাশ্যে এসেছে। আর তার ফলেই তাঁরা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত যে এতেই করোনা দূর হবে। এরপর আন্তর্জাতিক স্তরে এই ওষুধের স্বীকৃতির জন্যও কাজ শুরু করেছে ওই মেডিক্যাল টিম।

আরও পড়ুন--


বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিকিৎসক অধ্যাপক মহম্মদ তারেক আলম বলেন, "অ্যান্টি প্রোটোজল মেডিসিন আইভারমেকটিনের সিঙ্গল ডোজের সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক ডক্সিসাইক্লিনের মিশ্রণ ঘটানো হয়েছে। তারপর সেই মিশ্রণই কোভিড আক্রান্তের উপরে প্রয়োগ করে অবিশ্বাস্য সাফল্য মিলেছে। যেসব রোগীর শরীরে করোনার জীবাণু মিলেছে তাঁদের প্রায় প্রত্যেককেই এই দুটি ওষুধ প্রেসক্রাইব করেছে চিকিত্‍সক আলমের মেডিক্যাল টিম। কোনওর রোগী করোনা সংক্রান্ত উপসর্গ নিয়ে এলে প্রথমেই তাঁর লালারস পরীক্ষার জন্য বলি। তারপর এই ওষুধ প্রেসক্রাইব করা হয়। চারদিনের মধ্যেই রোগী সুস্থ হচ্ছেন, এমন বহু প্রমাণ মিলেছে।"

যদিও এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত ২০ হাজার ৯৯৫ জন এবং প্রাণ গিয়েছে ৩১৪ জনের।


আরও দেখুন--

Post a Comment

Previous Post Next Post