সায়ন ঘোষ : ভারতীয় নীল জার্সিতে আর দেখা যাবে না মাহীকে। দর্শকদের স্মৃতিতেই রয়ে গেলেন নীল জার্সি পরা ধোনি। শনিবার সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন এমএস ধোনি। দর্শকদের কাছে মহেন্দ্র সিং ধোনি একটা নাম নয়, আবেগ। স্মৃতিতে রয়ে গেল তাঁর 'হেলিকপ্টার সট'। যখন তিনি ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন, তখন ভারতের ক্রিকেটার হিসাবে তাঁর পঞ্চ বছর বয়সী কেরিয়ারকে পর্দা নামিয়ে আনেন।
এম.এস ধোনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় অন্যতম সেরা উইকেটকিপার হয়ে আছেন সাথেই তার ব্যাটিং।
ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে নিউজিল্যান্ডের কাছে সেমিফাইনাল হেরে বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে সর্বশেষ ৩৯ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় ৯ ও ১০ জুলাই দু'দিনের বেশি সময় খেলেছিলেন। ধোনি ৩৫০ ওয়ানডে সাথেই ৯৮ টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তাঁর নামে 10 টি সেঞ্চুরি এবং 73 টি অর্ধশতক রয়েছে। ধোনি তার ইন্টাগ্রামে লিখেছেন, ''আপনাদের ভালবাসা এবং সমর্থনের জন্য আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ।"
ধোনি ৯৮ টি টি-টোয়েন্টিতে গড়ে দুটি আধা-সেঞ্চুরি সহ ১৬১৭ রান করেছেন। ওয়ানডে ইতিহাসে পঞ্চম ভারতীয় এবং দ্বাদশতম ওয়ানডে ইতিহাসে দশ হাজার রান করার জন্য ধোনি তার অধিনায়কত্বে আরও একটি পালক যোগ করেছিলেন। প্রাক্তন এই অধিনায়ক 12 জানুয়ারী সিডনি ক্রিকেট মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের সময় এই মাইলফলক অর্জন করেছিলেন।
অভিজাত তালিকায় ধোনি শচীন তেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গাঙ্গুলি, কুমার সাঙ্গাকারা, ব্রায়ান লারা এবং সনথ জয়সুরিয়ার মতো ক্রিকেটার যোগ দিয়েছিলেন। ২০১১ বিশ্বকাপের বিজয়ী অধিনায়ক মাত্র দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান যিনি ১০০০০০ রানের ছোঁয়া ছুঁয়েছেন। সাঙ্গাকারা প্রথম উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসাবে এই ল্যান্ডমার্কটি অর্জন করেছিলেন। ধোনির অধিনায়কত্বের অধীনে, ২০১১ সালে ভারত ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ এবং ২০০ রান ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তুলে নিয়েছিল। ভারতকে ধোনি ইংল্যান্ডে ২০১৩-তে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জয়ও করেছিলেন। জানা গেছে ধোনি চেন্নাই এর সিএসকে শিবিরে যোগদান করেছেন। আর ফের তাঁকে হলুদ জার্সিতে ২২ গজে দেখা যাবে।