সার্বভৌম সমাচার : শুক্রবার বিকেলে বীরভূমের লোকপুরে বাবুজোর গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে এল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের দোতলা ভবনে কমপক্ষে ১০০ টি অপরিশোধিত বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা এবং গ্রামপ্রধান নবদ্বীপ মন্ডল উক্ত ঘটনার সময় প্রাণ বাঁচাতে একটি লোহার আলমারির আড়ালে লুকিয়ে পড়েন। এরপর নিজের প্রাণনাশের আশঙ্কায় মরিয়া হয়ে পুলিশি সহায়তা চান। হামলার সময় পঞ্চায়েত অফিসে আরও ১৭ জন উপস্থিত ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।
গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নবদ্বীপ মণ্ডল বলেছেন “আমার অফিস ঘরকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করেছিল। আমি এবং আরও ১৭ জন নিজেদের জীবন বাঁচাতে একটি লোহার আলমারির পিছনে লুকিয়ে পড়েছিলাম। আমরা সময়মতো দরজা- জানালা বন্ধ করার জন্য আমরা কোন রকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছি।"
এদিন প্রধান নবদ্বীপবাবু আরও বলেন, কাঁচা বোমা বিস্ফোরণে ফলে ধোঁয়া উঠার কারণে ঘরটি ভরাট হয়ে যাওয়ার দম বন্ধ হওয়ার মতো অনুভব করছিলাম।
সূত্রে খবর, তৃণমূলের আব্দুর রাহমানের নেতৃত্বে একটি দল এবং অন্যটি স্থানীয় তৃণমূল নেতা কেদার ঘোষের নেতৃত্বে আরেকটি দল বাবুইজোর গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করা নিয়ে লড়াই শুরু করে।
ওই সূত্র আরও জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে একদল লোক সরাসরি পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে প্রধানের ঘরে প্রবেশ করে অশান্তির শুরু করে। এরপর পঞ্চায়েত প্রধানের সমর্থকদের প্রতিরোধের ফলে আক্রমণকারীরা পঞ্চায়েত অফিস থেকে চলে যান।
পঞ্চায়েত প্রধান নবদ্বীপ বলেন, "আক্রমণটি সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত ছিল। বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ১০০ জন অসামাজিক ব্যক্তি পঞ্চায়েত অফিসের বাইরে জড়ো হয়। এরপর হামলাকারীরা পঞ্চায়েতের অফিস ভবন লক্ষ করে পরপর অপরিশোধিত বোমা ছুড়তে শুরু করে।
বীরভূমের এসপি শ্যাম সিং বলেছেন, “পুলিশ সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। প্রধান নবদ্বীপের একটি গাড়ি এবং ভবনের বাইরে পার্ক করা কমপক্ষে ছয়টি মোটরবাইক ভাঙচুর করা হয়েছে”।
স্থানীয় তৃণমূলের সভাপতি আবদুর রাহমান বলেছেন, “আক্রমণকারীরা উজ্জ্বল হক কাদেরীর সহায়তাকারী। যিনি বেশ কয়েকটি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত। তিনি পঞ্চায়েত দখল নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এটি ছিল আমাদের উপর ভয়াবহ আক্রমণ। আমরা ইতিমধ্যে কয়েকজনকে শনাক্ত করেছি এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হবে।”
অন্যদিকে উজ্জ্বল হক কাদেরি গোষ্ঠীর সদস্য তৃণমূল নেতা কেদার ঘোষ বলেছেন, “এই বিরোধের রাজনৈতিক বিদ্বেষের কোনও যোগসূত্র ছিল না। একদল লোক রাস্তার দাবিতে পঞ্চায়েত অফিসে গিয়েছিল। তাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে আক্রমণ করে।”
তবে স্থানীয় স্থানীয় তৃণমূল নেতা কাদেরির প্রতি আনুগত্যের কারণে এই সহিংসতার জন্য রহমান গোষ্ঠীকে দোষ দিয়েছেন। তাদের দাবী, “পঞ্চায়েত ভবন থেকে যদি আমাদের দিকে বোমা না ছোঁড়া হত তবে ঘটনাটি ঘটত না। তারাও আমাদের দিকে গুলি চালায়।”
তৃণমূল নেতা কাদেরি এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি অবশ্য পঞ্চায়েত পরিচালনায় তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী দলকে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন।
তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি এবং ওই এলাকার পর্যবেক্ষক বিকাশ রায় চৌধুরী বলেন, "পুলিশ রাজনৈতিক রঙ নির্বিশেষে পঞ্চায়েত অফিসে হামলার পিছনে যারা ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।"
একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই আক্রমণে কোন গুলি ব্যবহার করার কোনও প্রমাণ পায়নি এবং কেউ আহতও হয়নি।
আরও দেখুন--
গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নবদ্বীপ মণ্ডল বলেছেন “আমার অফিস ঘরকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করেছিল। আমি এবং আরও ১৭ জন নিজেদের জীবন বাঁচাতে একটি লোহার আলমারির পিছনে লুকিয়ে পড়েছিলাম। আমরা সময়মতো দরজা- জানালা বন্ধ করার জন্য আমরা কোন রকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছি।"
এদিন প্রধান নবদ্বীপবাবু আরও বলেন, কাঁচা বোমা বিস্ফোরণে ফলে ধোঁয়া উঠার কারণে ঘরটি ভরাট হয়ে যাওয়ার দম বন্ধ হওয়ার মতো অনুভব করছিলাম।
সূত্রে খবর, তৃণমূলের আব্দুর রাহমানের নেতৃত্বে একটি দল এবং অন্যটি স্থানীয় তৃণমূল নেতা কেদার ঘোষের নেতৃত্বে আরেকটি দল বাবুইজোর গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করা নিয়ে লড়াই শুরু করে।
ওই সূত্র আরও জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে একদল লোক সরাসরি পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে প্রধানের ঘরে প্রবেশ করে অশান্তির শুরু করে। এরপর পঞ্চায়েত প্রধানের সমর্থকদের প্রতিরোধের ফলে আক্রমণকারীরা পঞ্চায়েত অফিস থেকে চলে যান।
পঞ্চায়েত প্রধান নবদ্বীপ বলেন, "আক্রমণটি সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত ছিল। বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ১০০ জন অসামাজিক ব্যক্তি পঞ্চায়েত অফিসের বাইরে জড়ো হয়। এরপর হামলাকারীরা পঞ্চায়েতের অফিস ভবন লক্ষ করে পরপর অপরিশোধিত বোমা ছুড়তে শুরু করে।
আরও পড়ুন--
বীরভূমের এসপি শ্যাম সিং বলেছেন, “পুলিশ সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। প্রধান নবদ্বীপের একটি গাড়ি এবং ভবনের বাইরে পার্ক করা কমপক্ষে ছয়টি মোটরবাইক ভাঙচুর করা হয়েছে”।
স্থানীয় তৃণমূলের সভাপতি আবদুর রাহমান বলেছেন, “আক্রমণকারীরা উজ্জ্বল হক কাদেরীর সহায়তাকারী। যিনি বেশ কয়েকটি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত। তিনি পঞ্চায়েত দখল নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এটি ছিল আমাদের উপর ভয়াবহ আক্রমণ। আমরা ইতিমধ্যে কয়েকজনকে শনাক্ত করেছি এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হবে।”
অন্যদিকে উজ্জ্বল হক কাদেরি গোষ্ঠীর সদস্য তৃণমূল নেতা কেদার ঘোষ বলেছেন, “এই বিরোধের রাজনৈতিক বিদ্বেষের কোনও যোগসূত্র ছিল না। একদল লোক রাস্তার দাবিতে পঞ্চায়েত অফিসে গিয়েছিল। তাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে আক্রমণ করে।”
তবে স্থানীয় স্থানীয় তৃণমূল নেতা কাদেরির প্রতি আনুগত্যের কারণে এই সহিংসতার জন্য রহমান গোষ্ঠীকে দোষ দিয়েছেন। তাদের দাবী, “পঞ্চায়েত ভবন থেকে যদি আমাদের দিকে বোমা না ছোঁড়া হত তবে ঘটনাটি ঘটত না। তারাও আমাদের দিকে গুলি চালায়।”
তৃণমূল নেতা কাদেরি এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি অবশ্য পঞ্চায়েত পরিচালনায় তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী দলকে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন।
তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি এবং ওই এলাকার পর্যবেক্ষক বিকাশ রায় চৌধুরী বলেন, "পুলিশ রাজনৈতিক রঙ নির্বিশেষে পঞ্চায়েত অফিসে হামলার পিছনে যারা ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।"
একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই আক্রমণে কোন গুলি ব্যবহার করার কোনও প্রমাণ পায়নি এবং কেউ আহতও হয়নি।
আরও দেখুন--
Tags- #Bongaon #Samachar #Bongaon Samachar
#Samachar #Sarbabhauma Samachar #Sarba Bhauma Samacar #Bongaon News #Today News
#Today Bongaon News #bongaon news today live, #bongaon bengali news, #bongaon
khabar, #bongaon samachar, #samachar bongaon,