জাতীয় শিক্ষক পুরস্কার পেলেন পশ্চিমবঙ্গের দুই শিক্ষক

জাতীয় শিক্ষক পুরস্কার পেলেন পশ্চিমবঙ্গের দুই শিক্ষক

সার্বভৌম সমাচার : এবারের শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শিক্ষামন্ত্রন থেকে জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছেন দুর্গাপুরের নেপালিপাড়া হিন্দি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কালীমুল হক এবং আলিপুরদুয়ার ধনপতি টোটো মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মিশা ঘোষাল। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ একটি ভার্চুয়াল প্রোগ্রামের মাধ্যমে এই পুরস্কারটি দিয়েছেন। দেশজুড়ে মোট ৪৭ জন শিক্ষক এই পুরস্কার পেয়েছেন।

শনিবার আলিপুরদুয়ার জেলার টোটোপাড়ায় ধনীরাম টোটো মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিশা ঘোষাল শনিবার আলিপুরদুয়ার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুরেন্দ্র কুমার মীনার কাছ থেকে জাতীয় শিক্ষক পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি বাংলার মোট দু’জন পুরষ্কার প্রাপ্তদের মধ্যে অন্যতম।

প্রধান শিক্ষক মিশা ঘোষাল বলেন, “আমার জন্য এক দুর্দান্ত দিন ছিল, তবে প্রতিবছর যেমন ঘটেছিল তেমনই নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে আমি যদি পুরষ্কার পেতাম তবে আরও অনেক ভাল হত”। এর সঙ্গেই তিনি বলেন পুরষ্কারটি কেবল তাঁর ব্যক্তিগত নয়; এঁর কৃতিত্ব কিন্তু পুরো স্কুল এবং স্থানীয় লোকদের।

আরও পড়ুন--

দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত ৪৭ জন পুরস্কারপ্রাপ্তকে অবশ্য ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক ঘোষাল ১২ বছর আগে মাদারিহাট শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরের একটি পাহাড়ের উপরের ওই স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন। আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকের অন্তর্গত ভুটানের সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম টোটোপাড়া।

তিনি বলেন, ‘প্রথম কয়েক বছর আমার শিক্ষার্থীরা ক্লাসে খুব অনিয়মিত ছিল। বিশেষত মেয়েরা স্কুলে না আসার পরিবর্তে ঘরোয়া কাজ করতে ব্যস্ত থাকত। পরবর্তীকালে আমি টোটো ভাষা শিখি এবং শিক্ষার্থীদের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য সংগীতের মাধ্যমে শেখার প্রচলন শুরু করি। এই ছোট ছোট জিনিসগুলিই মনে হয় কাজ করেছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫০ জন, তবে মাত্র সাত জন শিক্ষক। অনেক চেষ্টার পরে, এই বছর উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগটিও খোলা হয়েছে’। উল্লেখ্য প্রধান শিক্ষক মিশা ঘোষাল টোটো লোক সংস্কৃতি সংরক্ষণেও কাজ করেছেন এবং তা নিয়ে একটি বইও লিখেছেন।

প্রায় এক দশক আগে যখন কলিমুল হক নেপালিপাড়া হিন্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেছিলেন। তখন প্রথম দিকে তিনি নানান প্রকার সমালোচনার ও অসুবিধার মুখোমুখি হয়েছিলেন। কিন্তু এরপরেই মিঃ হক পুরোপুরি ভাবে বিদ্যালয়টির পুনর্গঠনে মন দেন।

বর্তমানে বিদ্যালয়ে একটি কেন্দ্রীয় অডিও সিস্টেম, একটি ছাদ রান্নাঘর বাগান, একটি ভার্মিকম্পোস্টিং সেটআপ, ৫০০ আসনের একটি অডিটোরিয়াম, একটি আর্ট গ্যালারী, ৩০ টি কম্পিউটার মেশিন সহ একটি কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে। ইতিমধ্যে ৩,৬০০ এরও বেশি শিক্ষার্থী নিয়ে মিঃ হকের স্কুল পশ্চিমবঙ্গের সেরা স্কুল হিসাবে রাজ্য সরকার থেকে ২০১৯ সালে স্বীকৃতিও পেয়েছিলেন। এখন, ভূগোলে ডক্টরেট, মিঃ হক জাতীয় পুরষ্কার অর্জন করেলেন। তিনি ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে শিক্ষা রত্ন পুরষ্কার সহ বেশ কিছু প্রশংসাও পেয়েছেন।

আরও দেখুন--




Tags-  #Bongaon #Samachar #Bongaon Samachar #Samachar #Sarbabhauma Samachar #Sarba Bhauma Samacar #Bongaon News #Today News #Today Bongaon News #bongaon news today live, #bongaon bengali news, #bongaon khabar, #bongaon samachar, #samachar bongaon,

Post a Comment

Previous Post Next Post