বন্ধ মদের দোকান; হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেয়ে মৃত্যু হল ২ যুবকের, অসুস্থ আরও ২


বন্ধ মদের  দোকান; হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেয়ে মৃত্যু হল ২  যুবকের, অসুস্থ আরও ২

সার্বভৌম সমাচার ওয়েব ডেস্ক ঃ প্রায় দু’সপ্তাহের বেশী সময় ধরে লকডাউন চলায় মদের দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মহা ঝামেলায় সুরাসক্তরা। যার ফলে মদ না পেয়ে অতিরিক্ত পরিমাণ হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মারিশদায় মৃত্যু হল দুই যুবকের। অসুস্থ আরও দুই যুবক।  মৃত দুই যুবকের নাম ভরত দাস(৩৩), পঙ্কজ দাস(৪১)। অন্যদিকে, অসুস্থ দুই যুবকের নাম গৌতম দাস(৩৭) ও গঙ্গু দাস(৩০)।

আরও জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার তারা এই হোমিওপ্যাথি ওষুধ সেবন করেন। এরপর সেদিন রাত থেকেই ব্যাপকভাবে অসুস্থতা বোধ করেন তারা। শনিবার সকালে পরিবারের লোকজনরা তাদের কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এরপর চিকিৎসকরা প্রথমে ভরতকে মৃত বলে ঘোষণা করে এবং বাকিদের চিকিৎসা শুরু করে। ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে পঙ্কজের। শেষ পর্যন্ত শনিবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় পঙ্কজের। তবে বাকিদের এখনও চিকিৎসা  চলছে।


জানা গিয়েছে, লকডাউনে ফলে বন্ধ মদের দোকান। তাই অবশেষ পর্যন্ত মদ না পেয়ে অ্যালকোহল যুক্ত হোমিওপ্যাথি ওষুধকেই বেছে নেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মারিশদা থানার অন্তর্গত শিল্লিবাড়ি এলাকার ওই যুবকেরা। গত কয়েকদিন মদ না পেয়ে একেবারে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তাঁরা। ফলে শেষ পর্যন্ত স্থানীয় এক হোমিওপ্যাথি ওষুধের দোকান থেকে নেশার জন্য অ্যালকোহল যুক্ত হোমিওপ্যাথি ওষুধ কেনেন তারা। আর সেই ওষুধ অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে হিতে বিপরীত হয়। হোমিওপ্যাথি ওষুধের অতিরিক্ত ডোজ শরীরে প্রবেশ করতেই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া শুরু হয় শরীরের মধ্যে।

ইতিমধ্যে পুলিশ মৃতদের গ্রামে গিয়ে কয়েকটি অ্যালকোহলের শিশি উদ্ধার করেছে। তবে মৃত্যুর পিছনে প্রকৃত কারণ কি তা এখনও অস্পষ্ট পুলিশের কাছে। তবে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠছে, তারা যে ওষুধ খেয়ে ছিল তা ডেট এক্সপায়ার হয়ে গিয়েছিল। যারফলে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল।

Post a Comment

Previous Post Next Post