অম্লিতা দাস : খুন না আত্মহত্যা?একের পর একের রহস্যের জাল উন্মোচনের সাথে সাথে বেরিয়ে এলো আরো এক নতুন তথ্য।সুশান্তের মৃত্যুর পেছনে আছে রিয়া চক্রবর্তীর দুই ড্যাডির হাত।
সুশান্ত সিংয়ের মৃত্যুতে যেখানে জোর কদমে শুরু হয়েছে তদন্ত। সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে বহুবার উঠে এসেছে তাঁর প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর নাম।সম্প্রতি সুশান্তের এক বন্ধুর মাধ্যমে জানা গেছে রিয়ার বাবা একজন চিকিৎসক। সেই সূত্রেই রিয়া তার বাবার প্রেসক্রাইব করা ওষুধই খাওয়াতেন সুশান্তকে।তদন্তে সুশান্তের জিম পার্টনার সুনীল শুক্লা জানালেন তার বক্তব্য।
আরও পড়ুন--
তাঁর মতে, সুশান্ত সিংকে মারার পেছনে আছে রিয়ার দুই ড্যাডি।অর্থাৎ প্রথম জন রিয়ার জন্মদাতা অপরজন তার সুগার ড্যাডি ওরফে মহেশ ভাট।সুনীল আরো জানান যে,শুরুতে রিয়া সুশান্তকে ওষুধ খাওয়ালেও পরবর্তীকালে কোনো পরিচারিকা তা করেছিল।সুনীলের মতে, সুশান্তকে ১৪ই জুন না বরং খুন করা হয় ১৩ই জুন।পরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তা আত্মহত্যার নাম দেওয়া হয় মাত্র। সুশান্তের মানসিক অবসাদের ঘটনাকে সুনীল সমর্থন করেননি।তিনি সুশান্তকে সুস্থ বলেই দাবি করেছেন আরো বলেছেন যে সুশান্ত মাল্টিভিটামিন সাপ্লিমেন্টও নিতেন।
অভিনেতার মৃত্যুর কিছু দিন আগেই ব্রেকআপ হয়ে যায় রিয়ার সাথে। সুশান্ত সিংয়ের মৃত্যুর পর ফাঁস হয়েছে মহেশ ভাট ও রিয়া চক্রবর্তীর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট।যেখানে বোঝা যাচ্ছে রিয়া চক্রবর্তী মহেশ ভাটকে তার ব্রেকআপ সম্বন্ধে জানিয়েছেন।এই চ্যাট থেকেও বোঝা যায় মহেশ ভাটের সুশান্তের সাথে রিয়ার সম্পর্কে মত ছিলনা।
১৪ই জুন এই অভিনেতার প্রয়াণে বহু মানুষ শোকস্তব্ধ হয়ে যায়।নানান বিতর্কিত তথ্যের মধ্যে দিয়েই এই মামলা সুপ্রিমকোর্ট তুলে দেন সিবিআইয়ের হাতে।রহস্যের জট ক্রমশ প্রকাশ্য। সুশান্তের মৃত্যুর জাস্টিসের অপেক্ষায় বহু সাধারণ মানুষ।
আরও দেখুন--